জাবির আবাসিক হলে মাদকসেবনরত অবস্থায় নেপালী শিক্ষার্থী আটক

, ক্যাম্পাস

জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-12-20 20:45:43

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলে মাদকসেবনরত অবস্থায় ১০ গ্রাম গাজা ও সেবনের সরঞ্জামাদিসহ এক নেপালী নাগরিককে আটক করেছে মীর মশাররফ হোসেন হল প্রশাসন। তিনি কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী৷

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ৩১৬/বি কক্ষে তাকে মাদকসেবনরত অবস্থায় আটক করা হয়।

আটককৃত আশির্বাদ যাদব ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) এর ইলেক্ট্রনিক এন্ড ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং সেখানকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র। তিনি নেপালের কাঠমান্ডুর বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও হলের আবাসিক ছাত্র কামরুলের কক্ষ (৩১৬/বি) থেকে গাজার দুর্গন্ধ পেয়ে আমরা হল প্রাধ্যক্ষকে জানাই। পরে প্রাধ্যক্ষ স্যার হলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওই কক্ষে অভিযান চালায় এবং তাকে গাজা সহ হাতেনাতে আটক করে। এসময় তার কাছে ৪ প্যাকেটে ১০ গ্রাম গাজা ও গাজা খাওয়ার সরঞ্জাম পাওয়া যায়।

আটককৃত আশির্বাদ যাদবের সাথে কথা বলে জানা যায়, সে গতকাল রাতে কুষ্টিয়া থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে মার্কেটিং ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী খালেদ সিয়ামের সাথে যোগাযোগ করে মীর মশাররফ হোসেন হলে রাত্রিযাপনের জন্য আসে। পরে, খালেদ সিয়াম তাকে হলের ৩১৬/বি কক্ষে থাকার ব্যবস্থা করে। ওই কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বাস্কেট বল খেলোয়াড় কামরুল থাকেন। বাস্কেটবল খেলার সূত্রে তারা তিনজন পূর্ব পরিচিত বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে ৩১৬/বি কক্ষের আবাসিক ছাত্র কামরুল বলেন, আমি হল ছেড়েছি গত সেপ্টেম্বর। হল থেকে মালামাল নিয়ে আসিনি। তাই আমার চাবিটা খালিদের কাছে দিয়ে আসি। আমি আশির্বাদ যাদবকে চিনি। তবে সে যে গতকাল আমার রুমে ছিলো এটা আমি জানতাম না৷

এবিষয়ে জানতে খালিদ সিয়ামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে হল প্রাধ্যক্ষকে মুঠোফোনে তিনি বলেন, মাসখানেক আগে বাস্কেটবল খেলারসূত্র ধরে আমাদের পরিচয় হয়। আজকে ভোরবেলা সে আমার কাছ থেকে চাবি নিয়েছে। আমি এখন ঢাকায় আছি৷

এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইনফরমারদের তথ্যমতে ৩১৬/বি তে অভিযান চালাই। সে প্রথমে অস্বীকার করে কিন্তু অভিযান চালালে তার কাছ থেকে গাজা উদ্ধার করা হয়৷ সে জানায় হলে এর আগেও এসেছে। আমরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম এর উপস্থিতিতে আশুলিয়া থানায় সোপর্দ করি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, তাকে মাদকসহ পাওয়া গেছে। আমরা তাকে এইভাবে ছেড়ে দিতে পারিনা। তাই তাকে আমরা আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করি। এ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হল প্রাধ্যক্ষকে বলেছি।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা তাকে থানায় নিয়ে যাচ্ছি। এবিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

Related News