৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার ফলাফল বাতিল করে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডার বঞ্চিত এমন প্রার্থীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রত্যাশীরা।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ৩টার দিকে রাজধানীর সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে এসব দাবি তুলে ধরেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান, আমরা ৪৩তম বিসিএসের চাকুরি প্রত্যাশী প্রার্থী। আমরা ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ নন ক্যাডার চাকুরি প্রত্যাশী প্রার্থীরা আজ চরম বৈষম্যের শিকার। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) এ দেশের চাকুরি প্রত্যাশী লাখ লাখ তরুণ-তরুণী প্রার্থীদের মধ্যে থেকে মেধা, দক্ষতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে যোগ্য জনবল বাছাইয়ে জন্য অভিভাবক স্বরূপ।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে ৪২টি বিসিএস শেষ করতে পারলেও ৪৩ তম বিসিএসে এসে আমাদের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করেছে। সাম্প্রতিক ৩৮, ৪০ ও ৪১তম বিসিএস এ সাথে যদি আমরা ৪৩তম বিসিএস -এর তুলনা করি, তাহলে আশা করি সকলের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ৪৩তম বিসিএসের প্রার্থীদের জন্য পিএসসি কর্তৃক প্রকাশিত নন-ক্যাডার বিজ্ঞপ্তি বাতিল ও পদসংখ্যা বৃদ্ধি করে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
সরকারি কর্মকমিশনের কাছে ৩ দফা দাবি হলো, বৈষম্যমূলক ৪৩ তম বিসিএস নন-ক্যাডার ফলাফল বাতিল করে অনতিবিলম্ব এ চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডার বঞ্চিত এমন প্রার্থীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
অনতিবিলম্ব এ পিএসসি থেকে নতুনভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অধিযাচন পাঠিয়ে ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের আগ পর্যন্ত পদসংখ্যা বাড়িয়ে অধিক সংখ্যক প্রার্থীর চাকুরির নিশ্চয়তা তৈরি করতে হবে।
এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত ২০১৪ এর নন-ক্যাডার বিধি অনুযায়ী পরবর্তী চলমান বিসিএসগুলোতেও (৪৪, ৪৫ ও অন্যান্য) নন-ক্যাডার নিয়োগের পথকে সুগম করতে হবে।