প্রাথমিকের নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল দ্রুততম প্রকাশের দাবি
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত কোটা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ কোটার ভিত্তিতে সকল শূন্যপদের বিপরীতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের) এর চূড়ান্ত ফলাফল দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী চাকরিপ্রত্যাশী আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বরে অবস্থিত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে ‘মার্চ টু মিরপুর ডিপিই’ কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়।
আন্দোলনকারীরা বলেন, গত মার্চ মাসের ২৯ তারিখে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) এর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় আমরা ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হই। পরে চলতি বছরের গত ৯মে থেকে ১২জুন তারিখ পর্যন্ত ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার প্রায় ৩ মাস সময় অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়নি।
তারা বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ অনুসারে উক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলা ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ ও পুরুষ ২০ শতাংশ ধার্য রয়েছে, যা মেধার চূড়ান্ত অবমাননা বলে আমরা মনে করি। গত ২৩শে জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোটা সংক্রান্ত পূর্বের সকল পরিপত্র/প্রজ্ঞাপন/আদেশ/নির্দেশ/অনুশাসন রহিত করা হয়েছে।
তাই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ অন্যান্য কোটা অনুসরণ করতে আইনগত কোনো জটিলতা থাকার কথা নয়। তাই উক্ত নিয়োগের ফলাফল প্রণয়নের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত কোটা সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ অন্যান্য কোটা অনুসরণের দাবিতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে ৩ দিন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান করেছিলেন আন্দোলনের পরিবর্তে লিখিতভাবে নিজেদের দাবি জানাতে। প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী মানববন্ধন কিংবা আন্দোলনের পরিবর্তে আমরা মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবি জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি।
তারা বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন জারির আগে অনুষ্ঠিত কয়েকটি নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত হয়েছে, যেগুলোতে সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হয়েছে অর্থাৎ ৯৩ শতাংশ মেধা ও ৭ শতাংশ কোটা অনুসরণ করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আমরা গত ১ ও ৯ সেপ্টেম্বর আমাদের কর্মসূচি প্রথম সারির গণমাধ্যমে প্রচারিত হলেও কর্তৃপক্ষকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। তাই আজকের ‘মার্চ টু মিরপুর ডিপিই’ কর্মসূচি থেকে আমরা বৈষম্যবিরোধী চাকরিপ্রত্যাশী আন্দোলন স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত ২য় স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো বৈষম্যমূলক কোটা থাকতে পারবে না।