গত বুধবার রাতে বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলা হয়। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় তার বাড়িতে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতকারী। এই হামলায় গুরুতর আহত হন অভিনেতা। ঘটনার তিন দিন পর এক হামলাকারীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। আজ সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে মুম্বাই পুলিশের ডিসিপি দীক্ষিত গেদাম বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের মনে হয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক।
সংবাদ সম্মেলন করে মুম্বাই পুলিশ জানায়, বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে আজ সকালে বান্দ্রা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিনেতার বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে মহারাষ্ট্রের কাসারভাদাভালিতে হিরানন্দানি এস্টেট এলাকা থেকে রোববার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ।
দীক্ষিত গেদাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশি এবং অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের পর তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করেন। তিনি নিজেকে বর্তমানে বিজয় দাস হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। ৫-৬ মাস আগে মুম্বাই আসেন তিনি। কিছুদিন মুম্বাইয়ে ছিলেন, তারপর মুম্বাইয়ের আশপাশে ছিলেন। অভিযুক্ত একটি হাউসকিপিং এজেন্সিতে কাজ করতেন।’
পুলিশের দাবি, অভিযুক্তর কাজ থেকে মিলেছে ভুয়ো নথিপত্র। ভারতীয় নাগরিক হওয়ার পরিচয় দেখাতে পারেননি তিনি। সংবাদ সম্মেলনে দীক্ষিত গেদাম আরও জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতে চালান করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবেন তারা। হামলার ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলমান থাকবে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ডাকাতির উদ্দেশ্য নিয়েই সাইফ-কারিনার বাড়িতে ঢুকেছিলেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশকর্তা জানান, প্রথমবারই বান্দ্রার ওই বহুতলে প্রবেশ করেন ওই ব্যক্তি।
বান্দ্রার ‘সতগুরু শরণ’ ভবনের ১২ তলায় থাকেন অভিনেতা। পুলিশ জানিয়েছে, সাইফ আলী খান, তার স্ত্রী কারিনা কাপুর, তাদের দুই ছেলে চার বছরের জেহ ও আট বছর বয়সী তৈমুর ওই বাড়িতে থাকে। এ ছাড়া বাড়িতে থাকেন তাঁদের পাঁচ গৃহকর্মী। হামলার পর সাইফ অটো করে লীলাবতি হাসপাতালে পৌঁছান। রক্তভেজা সাইফকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিল তৈমুর। হেঁটেই হাসপাতালে ঢোকেন সাইফ।
লীলাবতি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর এক দিন আইসিইউতে রাখা হয়েছিল সাইফকে। এখন সাধারণ বেডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অভিনেতা বিপদমুক্ত। দু-এক দিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন সাইফ।
খবর: রয়টার্স