সাইফ ও কারিনার বয়ানে অসংগতি!

বলিউড, বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2025-01-25 14:48:21

সাইফ আলী খান হামলা মামলাকে ঘিরে জটিলতা ক্রমে বাড়ছে। সম্প্রতি সাইফের জবানবন্দি নিয়েছে পুলিশ। কারিনার বয়ান আগেই নিয়েছিল তারা। কিন্তু দুজনের বয়ানে অসংগতি ধরা পড়েছে। এ ছাড়া এই মামলাকে ঘিরে আরও কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার সাইফের ওপর হামলায় অভিযুক্ত মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামকে পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।

সব মিলিয়ে সাইফ আলী খানের মামলা নতুন মোড় নিয়েছে। সাইফ আর কারিনার বয়ান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সাইফের জবানবন্দি নিয়েছে। সাইফের সঙ্গে তার স্ত্রী কারিনা কাপুর খানের বয়ানে অসংগতি ধরা পড়েছে। অভিযুক্ত সাইফ পুলিশকে জানিয়েছেন যে হামলার রাতে তিনি তার আবাসনের ১১তলায় ছিলেন। অভিনেতা বয়ানে বলেছেন, ১৫ জানুয়ারি মধ্য রাতে ন্যানি এলিয়ামা ফিলিপের চিৎকার শুনে তিনি ও কারিনা জেহর (জাহাঙ্গীর) ঘরে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে কারিনা তার বয়ানে বলেছেন, সাইফ একা জেহর ঘরে গিয়েছিলেন। তিনি পরে গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে।

কারিনা কাপুর ও সাইফ আলী খান

সাইফ আলী খান মামলায় শরিফুল ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থাকবেন। সাইফের ওপর হামলাকারীর ফরেনসিক পরীক্ষা হবে। গতকাল বান্দ্রা আদালতে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার জন্য ফরেনসিক পরীক্ষার আবেদন করেছিল। আদালত তার অনুমতি দিয়েছেন।

সাইফের ওপর হামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) অজয় লিঙ্গুরকর গতকাল আদালতকে জানিয়েছেন, সাইফের ওপর যে অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছিল, তা তারা উদ্ধার করেছেন। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি কোথা থেকে এবং কার কাছ থেকে অস্ত্রটি কিনেছিলেন, তা তদন্ত করা বাকি আছে বলে আইও জানিয়েছেন।

কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রসেস’ করার প্রয়োজন আছে। ঘটনার সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি যে জুতা পরেছিলেন, তা উদ্ধার করা এবং তার সাইজ ম্যাচ করা এখনো বাকি আছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। হামলাকারীর সঙ্গে কার কার যোগাযোগ ছিল, তা পুলিশ তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে।

ছোট ছেলেকে জেহকে নিয়ে কারিনা কাপুর

কর্মকর্তার দাবি, শরিফুল তাদের তদন্তে কোনো রকম সাহায্য করছেন না। শরিফুলের সঙ্গে কার কার যোগাযোগ ছিল, সে বিষয়ে তিনি মুখ খুলছেন না বলে অজয় লিঙ্গুরকর জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী প্রসাদ যোশী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পুলিশকে তদন্ত করতে হবে, কার সাহায্যে শরিফুল ‘বিজয় দাস’-এর নামে আধার ও প্যান কার্ড বানিয়েছিলেন। আর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের ব্যক্তির সঙ্গে শরিফুলের মুখ ম্যাচ করানোর প্রয়োজন আছে।

এদিকে শরিফুলের আইনজীবী সন্দীপ শেরখানে আদালতকে জানিয়েছেন, অভিনেতার পরিবার হামলার পর যথাযথ অ্যাকশন নিতে কেন দেরি করেছেন?

তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, অভিনেতার পরিবার কেন পুলিশ হেল্পলাইন নম্বর ১০০-তে ফোন করেনি। পুলিশকে রিপোর্ট করতে অভিনেতার পরিবার কেন ৪৫ মিনিট সময় নিল। সন্দীপের আরও অভিযোগ, অভিনেতার পরিবার প্রতিবেশীকে ফোন করেনি, কেন সাহায্য নেয়নি। আর অভিনেতাকে হাসপাতালে যাওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে পরিবারের কেউ কেন ছিল না। আইনজীবীর বক্তব্য, এত দেরি করার কারণ, অভিনেতার ওপর যে হামলা হয়েছিল, তা গুরুতর ছিল না।

সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনায় এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশ

Related News