পরীমণি এলে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে!

ঢালিউড, বিনোদন

বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2025-01-25 20:09:33

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে একটি প্রসাধনসামগ্রীর শোরুম উদ্বোধনের জন্য কথা ছিল ঢাকােই ছবির আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির। কিন্তু তিনি আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে তাকে ঠেকাতে প্রস্তুতি নেয় স্থানীয় একটি মহল। এরপর চাপের মুখে ‘হারল্যান স্টোর’ নামে এলেঙ্গার টিন মার্কেটের ওই শোরুমের মালিক মীর মাসুদ রানা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করেন।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলার কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গার টিন মার্কেটে পরীমণির শোরুম উদ্বোধনের কথা ছিল।

চিত্রনায়িকা পরীমণি

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১৫ দিন ধরে এলেঙ্গায় টিন মার্কেটে ‘হারল্যান স্টোর’-এর শোরুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা পরীমনি উপস্থিত থাকার বিষয়টি জানিয়ে কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে দুই-তিন ধরে হেফাজতে ইসলামসহ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা পরীমনিকে ঠেকাতে বিভিন্ন কর্মসূচির পরিকল্পনা করছিলেন।

পরীমণিকে যাতে এলেঙ্গার মাটিতে না আনা হয়, সে ব্যাপারে আন্দোলনসহ অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরীমণির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিলের ব্যাপারে পুলিশ ও শোরুম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন হেফাজতে ইসলামের নেতাসহ কয়েকজন মুসল্লি।

এ ছাড়া বিভিন্ন মসজিদে পরীমনির শোরুম উদ্বোধন ঠেকাতে আলোচনা হয়। এতে শোরুম উদ্বোধনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছিল, এলেঙ্গায় ততই উত্তাপের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে শোরুম কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন চাপের মুখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান স্থগিত করতে বাধ্য হয়।

চিত্রনায়িকা পরীমণি

শোরুমটির মালিক মীর মাসুদ রানা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরীমণি থাকার কথা ছিল। এ নিয়ে হেফাজতে ইসলাম অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারা ঘোষণা দেন, পরীমণি এলে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মসজিদে আলোচনাও হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হেফাজতে ইসলামের এক নেতা ফোন করেছিলেন। বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে থানা পুলিশ আপাতত নিষেধ করেছে। পরে কম্পানির সঙ্গে কথা বলে তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। পরে ফেসবুকে দেখেছি তাদের কর্মসূচিও বাতিল করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘১০-১২ দিন ধরে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করেছি। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসায় বড় ধাক্কা খেয়েছি।’

চিত্রনায়িকা পরীমণি

এই বিষয়ে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রগ্রামটি নিয়ে কিছু হুজুর আপত্তি করেছিলেন। পরে কর্তৃপক্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হুসেইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্টোর কর্তৃপক্ষ আমার কাছে অনুমতি নিতে এসেছিল। তাদের শর্ত দেওয়া হয়েছিল সেখানে কোনো যানজট বা জনদুর্ভোগ করা যাবে না। সেটা মেনেই তারা রাজি হয়েছিল। তারা প্রগ্রামটি করতে পেরেছিল কি না, বিষয়টি জানায়নি।’

Related News