সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান শার্লট জ্যাকমার্টের

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক , বার্তা২৪.কম | 2024-10-19 15:00:30

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করে তাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের সুইস পাবলিক রেডিও এর সিনিয়র এডিটর শার্লট জ্যাকমার্ট।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) মার্কিন গণমাধ্যম দ্য ভয়েসে এই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সুইস এই সাংবাদিক বলেন, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে আজীবন লড়াইয়ের জন্য মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করি। আমার কর্মজীবনে তার দুবার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। যখন তিনি দেশে সমালোচিত হন তখন বিশ্বে আমার লেখা তার প্রতিবাদ করেছিল, পক্ষে ছিল। কিন্তু তারপরেও আমার রক্ত হিম হয়ে যায় যখন আমি জানতে পারি, মুহাম্মদ ইউনূসের নিয়োগের পরপরই ডজন খানেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমার প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুদের কয়েকজনকে এমনকি কারাগারেও পাঠানো হয়েছে।

গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সবসময়ই শক্ত পথ ধরে হাঁটতে হয়েছে। কারণ সবসময়ই এক দিক থেকে বিপদ ছিল। কিন্তু শক্ত পথে হাঁটা সাংবাদিকদের ফ্যাসিস্ট এ পরিণত করে না এবং এটি কখনোই তাদের কারাগারে নিক্ষেপ করা এবং তাদের ‘খুনি’ বলা সমর্থন করে না। যেমনটি আমার বন্ধু ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ এবং আরও অনেকের সাথে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, ইতিহাসে সাংবাদকিরা সবসময়ই ভালো বলির পাঁঠা হয়েছে। বিক্ষোভে নিহত ছাত্রদের হত্যার দায় পুলিশকে না দিয়ে নিরীহ সাংবাদিকদের ওপর চাপানো অনেক সহজ। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯নং অনুচ্ছেদে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চয়তা দেওয়া হলেও আজ অবধি ১০০টিরও বেশি সাংবাদিককে জুলাইয়ের শরু থেকে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের জন্য হত্যার প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য তিনি বলেন, বাংলাদেশ যদি সত্যিকার অর্থে একটি নতুন অধ্যায় খুলতে চায়, একটি আধুনিক গণতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চায়, তাহলে দেশটিকে এক নীতিতে কাজ করতে হবে। যার অর্থ, মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতারক্ষা, বাক স্বাধীনতার নিশ্চয়তা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশের প্রত্যেক নাগরিককে নিরাপদবোধ করা। শুধু যারা এখন ক্ষমতায় আছে তারা নয়।

বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে হবে যে তারা সত্যিই ইতিহাসের একটি পাতা পাল্টাতে যাচ্ছে। এটি সফল হলে, খ্যাতি এবং সম্মান অর্জন করবে। তারপরে বিশ্বজুড়ে এনজিও এবং সরকার থেকে বিনিয়োগ আসবে।

Related News