নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) আমেরিকান জুডিশিয়াল ওয়াচের প্রেসিডেন্ট টম ফিটনের একটি সামাজিক মাধ্যমের পোস্টে এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন তিনি।
চলতি মাসের শুরুতে আমেরিকান সরকারি দুর্নীতির তদন্তকারী সংস্থা জুডিশিয়াল ওয়াচের প্রেসিডেন্ট টম ফিটন সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেছিলেন, আগত প্রশাসন এমন একটি ঘোষণা প্রস্তুত করছে যেখানে অভিবাসীদের তাড়াতে আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ‘সামরিক বাহিনী’ কে ব্যবহার করবে।
তার এ পোস্টে মন্তব্য করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মন্তব্যের ঘরে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘সত্য!!!’।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারণার শেষের দিকে ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেছিলেন, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনে আমি অপরাধীদের বের করে আনার জন্য আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাসন কর্মসূচি শুরু গ্রহণ করব।
তিনি বলেন, আমি প্রতিটি শহরকে উদ্ধার করব এবং আমরা এই দুষ্ট ও রক্তপিপাসু অপরাধীদের কারাগারে রাখব। তারপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের লাথি দিয়ে বের করে দেব।
ইতিমধ্যে তিনি মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার জন্য বেশ কয়েকটি ইমিগ্রেশন হার্ড-লাইনারকে বাছাই করেছেন।সাউথ ডাকোটা রাজ্যের গভর্নর ক্রিস্টি নয়েমকে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি হিসেবে বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প।
"বর্ডার সিজার" খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টম হোম্যান গণ নির্বাসনের জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেছেন, তারা প্রথমে অপরাধীদের বহিষ্কার করবে এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে মনোনিবেশ করবে।
পুরো প্রচারাভিযানের সময় ট্রাম্প নির্বাসন প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য ন্যাশনাল গার্ডকে একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞরা এবিসি নিউজকে বলেছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ সেনাবাহিনীর জন্য একটি মৌলিক পরিবর্তন চিহ্নিত করবে। তবে এটি দেশীয় আইনে নেই।
কখনও কখনও, ট্রাম্প আরও এগিয়ে গিয়েছেন। বিদেশ থেকে হাজার হাজার সৈন্যকে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে সরানোর পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে আনুমানিক ১১ মিলিয়ন অননুমোদিত অভিবাসী বৈধতা ছাড়াই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের ধারণা, বিপুল সংখ্যক জনগণকে অপসারণ করতে তাদের প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে।
এছাড়াও, এ পদক্ষেপে কর রাজস্ব এবং শ্রমের ঘাটতির ক্ষতির ফলে ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে।
এবিসি নিউজের প্রধান গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স করেসপন্ডেন্ট মার্থা রাডটজ সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ট্রাম্পের অভিবাসন এবং গণ নির্বাসন পরিকল্পনা আমেরিকান কৃষি শিল্পের উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে বলেছেন।