লস অ্যাঞ্জেলেসে নতুন করে ফের দাবানল, আগেরটি আংশিক নিয়ন্ত্রণে

আমেরিকা, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2025-01-23 10:23:00

আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের উত্তরের বিস্তীর্ণ এলাকায় নতুন করে দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। পালিসেডেস এবং ইয়াটনের পর এ বার জ্বলছে শহরের উত্তরের কাস্টাইক হ্রদ-সংলগ্ন এলাকা। সে এলাকা থেকে ইতোমধ্যেই ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে ঘর ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে সৃষ্টি হওয়া এ দাবানল লস অ্যাঞ্জেলেসের অদূরে নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে অন্তত ২১ বর্গকিলোমিটার এলাকার গাছপালা ও ঝোপঝাড় পুড়ে গেছে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আগুন সেখানে গাছপালা ও ঝোপঝাড় ধ্বংস করে দিচ্ছে।

লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে উত্তরে প্রায় ৩৫ মাইল দূরে সান্টা ক্ল্যারিটা শহরের কাছে কাস্টাইক হ্রদ। হ্রদের আশপাশের এলাকা জুড়ে বহু মানুষের বাস। কাস্টেইক লেক এলাকায় শুরু হওয়া ‘বিশাল আগুন’ স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি তৈরি করেছে।

দমকা হাওয়ার কারণে আরও দ্রুত ছড়াচ্ছে আগুন। শুষ্ক এবং দমকা হাওয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। সেই আবহে এলাকার সমস্ত বাসিন্দাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। যে কোনও মুহূর্তে বাড়ি ছাড়ার জন্য প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে।

ওয়েস্ট কোস্ট এলাকায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে মূল সড়কের একাংশ। ফলে সড়কপথে ব্যাপক যানজটের মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। কাস্টাইকের পিচেস জেলের জন্যও জারি হয়েছে সতর্কতা। যে কোনও সময় জেলে থাকা ৪,৬০০ বন্দিকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যেতে হতে পারে। সে জন্য তৈরি রয়েছে সারি সারি বাস।

চলতি মাসেই আগুন লেগেছিল সাজানো শহর লস অ্যাঞ্জেলেসে। সেখানে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পালিসেডেসের দিকে আট জনের দেহ পাওয়া গিয়েছে। বাকি ১৬ জনের দেহ মিলেছে ইয়াটনের দিক থেকে। আগুনে পুড়ে গিয়েছে হাজার হাজার বাড়ি। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। আমেরিকার ইতিহাসে এটিই হয়তো সবচেয়ে বিধ্বংসী প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে আশঙ্কা করেছেন ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর গভিন নিউসম।

লস অ্যাঞ্জেলেস অঞ্চলের ইটন ও পালিসেডস দাবানল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ক্যালিফোর্নিয়া বন ও অগ্নি সুরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, ইটন দাবানল ৯১ শতাংশ এবং পালিসেডস দাবানল প্রায় ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই দাবানলে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, ধ্বংস হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ঘরবাড়ি।

Related News