হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে হজের ব্যয় এক লাখ টাকারও বেশি কমিয়ে আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, এ বছর সরকারি খরচে কাউকে হজে পাঠানো হবে না।
রোববার (১৭ নভেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা জানান।
সরকারি খরচে হজপালন নিয়ে প্রচুর সমালোচনা থাকলেও অনেকেই এ জন্য রীতিমতো তদবরি পর্যন্ত করেন। প্রতিবছর সরকারি অর্থে অবসরপ্রাপ্ত সচিব থেকে শুরু করে বিচারপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই হজে যান।
চলতি বছর (২০২৪) ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭১ জনকে হজ পালনের জন্য সৌদি আরব পাঠায় আওয়ামী লীগ সরকার। এর আগের বছর (২০২৩) সরকারি খরচে হজে যান ২৩ জন। আর ২০২২ সালে সরকারি খরচে হজে পাঠানো হয় ২৫৪ জনকে।
জানা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে সরকার নির্দিষ্টসংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে সরকারি খরচে হজপালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পাঠানোর কার্যক্রম চালু করে। এর মধ্যে ২০২০ ও ২০২১ সালে মহামারি করোনার কারণে কাউকে হজে পাঠানো হয়নি। এই দুই বছর ছাড়া গত সাত বছরে ১ হাজার ৯১৮ জনকে সরকারি খরচে হজে পাঠানো হয়।
এর মধ্যে ২০১৪ সালে ১২৫ জন, ২০১৫ সালে ২৬৮ জন, ২০১৬ সালে ২৮৩, ২০১৭ সালে ৩৩৪, ২০১৮ সালে ৩৪০ জন এবং ২০১৯ সালে ৩১৪ জনকে সরকারি খরচে হজে পাঠানো হয়।