কবর খনন পদ্ধতি

মাসয়ালা, ইসলাম

ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2025-01-23 20:34:38

মৃতদের কবর দেওয়ার কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক স্থানে কবর খনন করার প্রচলিত পদ্ধতির কারণে লাশ চিত করে শোয়াতে হয়। শুধু চেহারাটা কিছুটা কেবলামুখী করার চেষ্টা করা হয়।

কিন্তু ইসলামি স্কলাররা, কবরে মাইয়্যেতকে (মৃত) শোয়ানোর এ পদ্ধতি সঠিক নয় বলে মত দিয়েছেন। চিত করে শুইয়ে শুধু চেহারা কেবলার দিকে করে দেওয়া সুন্নত পদ্ধতির পরিপন্থী। এক্ষেত্রে সুন্নত নিয়ম হলো, মাইয়্যেতকে কবরে সম্পূর্ণ ডান কাত করে কেবলামুখী করে শোয়ানো। আর তা নিশ্চিত করতে কবর খনন করতে হবে শরিয়ত ও সুন্নাহসম্মত পদ্ধতিতে। শরিয়তে কবর খননের দুটি পদ্ধতি রয়েছে।

এক. প্রথমে চার কোণ বিশিষ্ট একটি গর্ত খনন করবে। যা লম্বায় মায়্যেতের দৈর্ঘ্য পরিমাণ হবে এবং চওড়ায় লম্বার অর্ধেক পরিমাণ। আর তা একজন মানুষের উচ্চতার সমান কিংবা অন্তত সীনা বরাবর গভীর করে খনন করা উত্তম। অবশ্য সর্বনিম্ন একজন মানুষের উচ্চতার অর্ধেক পরিমাণ গভীর করে খনন করার সুযোগ আছে। এভাবে প্রথমে চার কোণ করে বড় একটি গর্ত খনন করার পর পশ্চিম দিকে ভেতরে আরেকটি গর্ত খনন করবে। যার উচ্চতা মায়্যেতের দুই কাঁধের প্রশস্ততার চেয়ে একটু বেশি হবে। এভাবে গর্তটি খনন করার পর মায়্যেতকে তাতে ডান কাত করে রেখে বাঁশ ইত্যাদি দিয়ে ওই গর্ত বন্ধ করে দেবে। এরপর বড় গর্তটি মাটি দ্বারা পূর্ণ করে দেবে। এ পদ্ধতিতে খনন করা কবরকে লাহ্দ অনেক অঞ্চলে বুগলি কবর- বলা হয়।

দুই. পূর্বের নিয়মানুযায়ী প্রথমে চার কোণ বিশিষ্ট একটি বড় গর্ত খনন করে মাঝ বরাবর আরেকটি ছোট গর্ত খনন করবে। যার প্রশস্ততা হবে- মায়্যেতকে কেবলামুখী করে শোয়াতে যতটুকু প্রয়োজন হয় সে পরিমাণ আর গভীরতা হবে মায়্যেতের দুই কাঁধের প্রশস্ততার চেয়ে একটু বেশি। এভাবে গর্ত খনন করার পর মায়্যেতকে তাতে রেখে ওপরে বাঁশ ইত্যাদি বিছিয়ে দেবে। তারপর পুরো গর্ত মাটি দ্বারা ভরাট করে দেবে। এ পদ্ধতিতে খনন করা কবরকে (শাক্ক) কোনো কোনো অঞ্চলে সিন্দুক কবর- বলা হয়।

যেসব জায়গার মাটি শক্ত ও মজবুত, সেখানে লাহ্দ তথা বুগলি কবর খনন করাই উত্তম। তবে যেসব জায়গার মাটি নরম সেখানে সিন্দুক কবর খনন করবে।

Related News