হত্যার পর মরদেহ গুম, ১১ বছর পর ২ জনকে মৃত্যুদণ্ড

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2024-11-26 21:39:00

চট্টগ্রামের রাউজানে ১১ বছর আগে মাছ ধরার জাল নিয়ে বিরোধের জেরে অসীম জলদাস নামে একজনকে নৃশংসভাবে খুনের পর মরদেহ গুমের মামলায় দুই জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দেউলিয়া বিষয়ক) জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালত এই রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন- রাউজান উপজেলার বিনাজুরী ইউনিয়নের পশ্চিম বিনাজুরী গ্রামের উজ্জ্বল জলদাস ও সজল জলদাস।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, রাউজান উপজেলার পশ্চিম বিনাজুরী গ্রামের জেলেপাড়ার বাসিন্দা অসীম জলদাস মশার কয়েল কেনার জন্য দোকানের উদ্দেশ্যে বের হয়ে ২০১৩ সালের ৭ জুলাই নিখোঁজ হন। পরদিন তার মরদেহ পশ্চিম বিনাজুরী স্লুইসগেট কার্যালয়ের পেছনে সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়। অসীমকে গলায় ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যার পর মরদেহ গুম করে রাখার অভিযোগে তার স্ত্রী সাবিত্রী জলদাস রাউজান থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সরোয়ার হোসাইন লাবলু জানান, ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উজ্জ্বল জলদাস ও সজল জলদাস দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। পরে তাদের সাজামূলে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি আরও জানান, আসামিরা পরস্পর মামাতো-ফুপাতো ভাই। আসামি উজ্জ্বলের বাবার সঙ্গে মাছ ধরার বড় জাল নিয়ে ভিকটিম অসীমের বিরোধ হয়েছিল। সেটার প্রতিশোধ নিতে অসীমকে অতিরিক্ত মদ খাইয়ে খুন করা হয়। অপরাধ আড়াল করতে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য আসামিদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন আদালত।

Related News