নিখোঁজের দুইদিন পর সোমেশ্বরীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা | 2024-10-10 13:07:33

নেত্রকোনা দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর পাহাড়ি ঢলের পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ যুবক রুয়েল রিছিলের (২৮) মরদেহহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে সোমেশ্বরী নদীর ফারাংপাড়া জিরো পয়েন্ট অংশে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে ঢলের পানিতে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন ওই যুবক।

নিতহ রুয়েল রিছিল সদর ইউনিয়নের দাহাপাড়া গ্রামের কৃষক অনুত সাংমার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গেল কয়েকদিন ধরেই পানি বেড়েছে সোমেশ্বরী নদীতে। মঙ্গলবার নদীর পানি কমে যাওয়ায় রুয়ালসহ চার বন্ধু মিলে নদীতে মাছ ধরতে যায়। বিকেলে মাছের জাল তুলতে গেলে চোরাবালুর গর্তে পড়ে যায় রুয়েল রিছিল। তার চিৎকার শুনে পাড়ে থাকা তিন বন্ধু তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারাও গর্তে পড়ে যায়। এ সময় পাড় থেকে বিষয়টি দেখে স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন দ্রুত নৌকা নিয়ে ছুটে এসে তিনজনকে উদ্ধার করতে পারলেও স্রোতে ভেসে যায় রুয়েল রিছিল। পরের স্থানীয়রা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ময়মনসিংহ থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সন্ধ্যায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।

কিন্ত ২ দিন উদ্ধার তৎপরতার পরেও মরদেহের সন্ধান পায়নি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থলে রুয়েলের মরদেহ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।

নিখোঁজ রুয়েল বন্ধু দারউইন মারাক জানান, আমরা চার বন্ধু মিলে দুপুরে মাছ ধরতে নদীতে আসি। এই সময় রুয়েল দু তিনবার নদীতে জাল ফেলার পর হঠাৎ চিৎকার শুরু করে। আমরা চিৎকার শুনে দ্রুত তাকে উদ্ধার করতে গেলে আমরাও গর্তে পড়ে যাই স্থানীয় এক ব্যক্তি আমাদের উদ্ধার করে। কিন্তু রয়েল নিখোঁজ হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হৃদয় জানান, খবর পাওয়ার পর আমি বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসকে জানাই এরপর তারা এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে।

নিহত রুয়েল রিছিলের বাবা অনুত সাংমা বলেন, ছোট একটা বাচ্চা রেখে আমার ছেলের বউ কিছুদিন আগে মারা গেলো। এখন ছেলেটাও নাই। আমার আর কিছুই রইলো না।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Related News