মামলার আপোষ না করায় বাদীর জামাইকে হত্যার চেষ্টা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া | 2024-10-11 17:00:42

বগুড়ায় হত্যা মামলার আপোষ না করায় বাদীর জামাইকে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও কৃষকলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

হত্যার চেষ্টার শিকার রাকিবুল (২২) বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে বগুড়া সদরের দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়ক সংলগ্ন কর্ণপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনার পর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা লুৎফর রহমান মিন্টু ও কৃষকলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন আত্মগোপন করেছেন।

রাকিবুলের স্ত্রীর বড় ভাই রকি চৌধুরী জানান, রাকিবুল মানিকচক এলাকায় একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে ফ্যাক্টরি থেকে বের হওয়ার পরপরই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা লুৎফর রহমান মিন্টু ও কৃষকলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনসহ কয়েকজন রাকিবুলকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এখবর জানাজানি হলে পরিবারের লোকজন খোঁজ করা শুরু করে। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে রাকিবুলকে মানিকচক বন্দরের অদূরে কর্ণপুর এলাকায় এক জঙ্গলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফেলে রেখে যায়।

স্থানীয়রা জানান, ৫ আগষ্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মিন্টু ও গিয়াস মেম্বারকে দিনের বেলা দেখা যায় না। তবে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাদেরকে মানিকচক বাজারে দেখা যেত। এদিকে লুৎফর রহমান মিন্টু ও গিয়াস উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন বলেন, এধরনের ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়নি। থানায় অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ অক্টোবর রকি চৌধুরীর ছোট ভাই রোহান চৌধুরীকে বগুড়া জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে অপহরন করে এলাকায় নিয়ে এসে পিটিয়ে হত্যা করা হয় লুৎফর রহমান মিন্টু ও গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে। লুৎফর রহমান মিন্টু বগুড়া পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক। আর গিয়াস উদ্দিন রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য, রাজাপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি এবং মিন্টুর আপন মামা।

রোহান হত্যার ঘটনায় তার বাবা কামাল চৌধুরী বাদী হয়ে লুৎফর রহমান মিন্টু, গিয়াস উদ্দিনসহ ১১ জনের নামে মামলা করে। সেই মামলার ওই দুইজন দীর্ঘ কয়েক মাস কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি তারা জামিনে মুক্ত হয়। এরপর থেকেই মামলা আপোষের জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। মামলা আপোষের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় আমার ভগ্নিপতিকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

Related News