রংপুরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো দুর্গোৎসব

, জাতীয়

বর্ণালী জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর | 2024-10-14 00:33:25

রংপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় শারদীয় দুর্গোৎসব। ঢাকের বাদ্য আর শঙ্খের উলুধ্বনিতে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের সুরে নানা উপাচারে দেবীর অর্চনায়সহ বিসর্জন দেয়া হলো দেবীকে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শাস্ত্রমতে,  অসূর বধ ও সকল অকল্যাণ দূর করে আজ দেবী ফিরে গেলেন কৈলাশে। বিদায় বেলা ভক্তদের জন্য রেখে যাচ্ছেন সুখ, সমৃদ্ধি ও আশীর্বাদ এমনটি বলছেন ভক্তরা।

রোববার ( ১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রংপুর নগরীর মূল্টোল, ডিমলা,ঘাঘটসহ বিভিন্ন নদী, বিল ও পুকুরে ঢাকের বাজনায় হাজারো মুখোরিত ভক্তরদের উলুধ্বনিতে প্রতিমাকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। যেন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ভক্তরা পেয়েছেন নতুনকে আলিঙ্গন করার মঙ্গল বার্তা।

তবে রংপুর নগরীর মুলাটোল পুকুরে পানি না থাকায় প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে চিন্তিত ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে গত বুধবার থেকে রবিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত পুকুরে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি দেয়ার ফলে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় প্রতিমা বিসর্জন।

প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসা বেশকয়েকজন ভক্ত বলেন, বিসর্জনের বাজনায় আবাহনের সুর মিশিয়ে আগামীর অপেক্ষায় মা দুর্গাকে বিদায় জানালাম। ‘আবার আসবে মা, দেখা হবে আগামী বছর। দেশ ও জাতির কল্যাণে মঙ্গলের বার্তা জানান দিয়ে গেলেন আশা করছি সকলের মঙ্গল হবে। সব অপশক্তি মায়ের আশীর্বাদে দূর হবে। আজকের দিনটি আনন্দের হলেও কষ্টেরও বটে মায়ের বিদায়ে খুব কষ্ট হচ্ছে তবে হাসি মুখে বিদায় জানাচ্ছি৷

এবারের পূজায় শান্তি শৃঙ্খলা নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী অনন্যা ঘোষ বলেন, এবার দেশের পরিস্থিতি এত ভয়াবহ খুব আতঙ্ক ছিলাম মায়ের পূজা নিয়ে৷ তবে পুলিশ, প্রশাসন,অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তায় শেষ পর্যন্ত খুব ভালো কেটেছে পূজা৷ আজকে মা দেশের ও মানুষের কল্যানে আশীর্বাদ দিয়ে চলে যাচ্ছেন। আবারও আগামী বছর এধরেনর নিরাপত্তায় মায়কে ফিরে পেতে চাই মণ্ডপে।

এবছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর তৎপরতার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে রংপুরে ৮৩৫ টি মণ্ডপে দুর্গা উৎসব পালন করা হয়।  পুজামণ্ডপ সমূহে যে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়ানোর লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর টহল তৎপরতা জোরদারের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল পুলিশ,আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সুষ্ঠুভাবে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করতে উপজেলার প্রতিমা বিসর্জনের সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।

এর আগে বিকেলে রংপুর নগরীর কালেক্টরেট সুরভী উদ্যানের পাশে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী।

Related News