চুয়াডাঙ্গায় সাপের কামড়ে সোহরাব হোসেন (৪) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামে নিজ বাড়ির উঠানে খেলা করার সময় সাপটি শিশুটির পায়ে কামড় দেয়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিশু সোহরাব হোসেন গোপিনাথপুর গ্রামের সুবহান মিয়ার ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সোহরাব সকালে উঠানে খেলছিল। সেই সময় হঠাৎ একটি বিষধর সাপ এসে তার পায়ে কামড় দেয়। কামড়ের পর শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে বাড়ির লোকজন দ্রুত ছুটে আসে এবং সাপে কামড়ের বিষয়টি বুঝতে পেরে শিশুটিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই সোহরাব মারা যায়।
প্রতিবেশী আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি এবং সোহরাবের বাবা বাড়ির পাশে কাজ করছিলাম। হঠাৎ কান্নার শব্দ শুনে আমরা ছুটে এসে দেখি, সাপ সোহরাবের পায়ে কামড় দিয়েছে। আমরা দ্রুত তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাই, কিন্তু তখনও বুঝতে পারিনি যে সে আর নেই।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোর্শেদ আলম বলেন, ‘শিশুটিকে যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখন আমরা পরীক্ষা করে দেখি যে সে মারা গেছে। কামড়ের পর দ্রুত চিকিৎসা না পাওয়ায় বিষ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং তার মৃত্যু ঘটে।’
তিনি আরও জানান, এ ধরনের বিষধর সাপের কামড়ের ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব প্রাথমিক চিকিৎসা এবং সাপের বিষ নিরোধক ইনজেকশন দিতে হয়। তবে সোহরাবকে হাসপাতালে আনতে দেরি হওয়ায় বিষ দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, যা তার প্রাণহানির কারণ হয়েছে।
এদিকে, শিশু সোহরাবের অকাল মৃত্যুতে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গ্রামের এই অঞ্চলে মাঝে মাঝে বিষধর সাপের উপদ্রব দেখা যায়। তবে এবারই প্রথম একটি শিশুর প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। তারা প্রশাসনের কাছে সাপের উপদ্রব রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।