তথ্য সংগ্রহের জন্যে স্লিপ প্রদানকারী পুলিশ কর্মকর্তার ভুলে ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীতে গুলিতে নিহত মাওলানা মাহমুদুল হাসান ভিকটিমের বদলে আসামি লেখা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের দিন বাড্ডায় তিনি নিহত হন। এই ঘটনায় নিহতের মামা বাদি হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার তথ্য পেতে মাহমুদুল হাসানকে ভিকটিম না লিখে আসামি উল্লেখ করে অনুসন্ধান স্লিপ পাঠানো হয় তার গ্রামের বাড়িতে। এরপরই এই নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে আসল ঘটনা সামনে আসে। মূলত সংশ্লিষ্ট থানা থেকে তথ্য অনুসন্ধান স্লিপে ভুলে আসামী লিখায় এই তোলপাড়ের তৈরি হয়। নিহত মাহমুদুল হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে রাজধানীর উত্তরাতে বসবাস করতেন। গাজিপুরের কাপাসিয়া চাঁদপুর বাজার মসজিদের খতিব ছিলেন।
নিহত মাহমুদুল হাসানের চাচা সাইদুর রহমান বলেন, ৫ আগস্ট বিকেলে বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় আমার ভাতিজা মাওলানা মাহমুদুল হাসান। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমাকে কয়েকদিন আগে ফোন করে জানায় আমার ভাতিজা মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা হয়েছে। তা শুনে আমি হতভম্ব! মৃত ব্যক্তির নামে এতোদিন পরে মামলা কিভাবে সম্ভব! তিনি বলেন, নিহত মাহমুদুল হাসান আসামী হওয়ার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট থানা যোগাযোগ করে। আমার ভাই মাহমুদুলের বাবা থানায় গেলে সেখান থেকে জানানো হয়, অনুসন্ধান স্লিপে ভিকটিমের বদলে আসামী উল্লেখ করেছেন দায়িত্বে থাকা অফিসার। এই স্লিপ সরাইলে আসার পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে তারা অনুরোধ জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে অনুসন্ধান স্লিপ প্রেরণকারী রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদিকুজ্জামান বলেন, মাহমুদুল হাসান নিহতের ঘটনায় তার মামা গত ২৬ সেপ্টেম্বর বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামী অথবা ভিকটিম আমাদের থানা এলাকার বাইরের হওয়ায় সংশ্লিষ্ট থানায় অনুসন্ধান স্লিপ পাঠিয়ে থাকি নাম-পরিচয় জানতে, মাহমুদুল হাসানের বেলাও তা পাঠিয়েছি। আমরা অনেক কাজে চাপে থাকি, ভুলবশত সেই অনুসন্ধান স্লিপে ভিকটিমের বদলে আসামী লিখা হয়েছে।