নওগাঁয় সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার বার্তা২৪’র সাংবাদিক

, জাতীয়

নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-10-16 22:16:24

নওগাঁয় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন মাল্টিমিডিয়া নিউজপোর্টাল বার্তা২৪.কম-এর নওগাঁ জেলা করেসপন্ডেন্ট শহিদুল ইসলাম। মারধরের পর তাকে ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশের সহযোগিতায় তার সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বর্তমানে তিনি নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার কীর্তিপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দপুর গ্রামের নব মুসলিম অমিত হাসান ও তার পরিবারকে বেশকিছু ধরে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম ও সাংবাদিক একেএম জাহিদুল হক মিন্টু ওই এলাকায় গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের বক্তব্য ক্যামেরায় ধারণ করছিল। এসময় স্থানীয় ইউপি মেম্বার রেজাউল হকের ছেলে এলাকার মাস্তান বাহিনী'র প্রধান ওয়াহেদুর রহমান রকিসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে। এসময় শহিদুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে অভিযুক্ত রকির বাড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।

সংবাদ পেয়ে নওগাঁ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ থানা পুলিশের সহযোগিতায় সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসার জন্য নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ আছে- হিন্দু ধর্ম থেকে নব মুসলিম হওয়া এক পরিবারকে ওয়াহেদুর রহমান রকি, আরিফ, মুন্না দেওয়ান, শামীম হোসেন, আল আমিন, রাকিব, রাজনসহ আরো অনেকে মিলে অবরুদ্ধ রেখে তাদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। এমনকি ওই পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও ভয়ে থানা পুলিশের কাছে যেতে পারেনি।

হামলার শিকার সাংবাদিক জাহিদুল হক মিন্টু বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার সংবাদ পেয়ে সত্যতা জানতে সহকর্মী আমি ও শহিদুল ঘটনাস্থলে যাই। ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলার সময় ওয়াহেদুর রহমান রকি নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন এসে ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে। তারপর আমাদের মারধর করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর মুন্না নামের একজন মোবাইল ফোনে নব মুসলিমের বিরুদ্ধে সংবাদ করার জন্য সাংবাদিক শহিদুলকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে চায়। সেটি সে প্রত্যাখ্যান করলে তারা আবারও মারধর করে রকির বাড়ির সামনে আমাকে নিয়ে এসে আটক করে রাখে।

তিনি আরও বলেন, পরে জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ জানার পর থানা পুলিশের সহযোগিতায় সহকর্মী শহিদুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। সে মাথা ও ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা পেয়েছে। আমি এ হামলার দ্রুত বিচার চাই।

নওগাঁ সদর থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) মো: মেজবাহ বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে থানায় এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related News