তরুণ প্রজন্মের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধের দাবি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-10-17 17:47:41

তরুণ প্রজন্মের জীবন সুরক্ষায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নতুন ঝুঁকি ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম বা ই-সিগারেট নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এই বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট জানান, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে তামাক ব্যবহার কমিয়ে আনার উদ্যোগ এগিয়ে চললেও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নতুন ঝুঁকি ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম বা ই-সিগারেট। স্কুল কলেজের কিশোর ও তরুণদের মধ্যে এই ক্ষতিকর পণ্যটির ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের ৩২টি দেশ ইতিমধ্যে ই-সিগারেট বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে। জনস্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশেও এটি নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।

তামাক বিরোধী এই জোট জানায়, জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হওয়ায় ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু সুকৌশলে তামাক কোম্পানিগুলো এটিকে স্টাইল বা আধুনিকতার প্রতীক হিসেবে প্রচার করে দেশে সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ই-সিগারেটের বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগকে আরও জোরালো করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতিতে ই-সিগারেট ও সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর আমদানি নিষিদ্ধকরণ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তালিকাভুক্ত পণ্যের মধ্য থেকে ই-সিগারেট ও সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর এইচএস কোড প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তামাক নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুসারে ই-সিগারেট আসক্তি তৈরি করে। এটিকে তামাকের বিকল্প বা তামাক ছাড়ার উপায় হিসেবে প্রচার করা হলেও বাস্তবে ই-সিগারেট নতুন ধরনের নেশা তৈরির মাধ্যম। প্রকৃতপক্ষে এই পণ্য ফুসফুস, হার্ট ও স্নায়ুতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে। বর্তমানে ই-সিগারেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ শতাংশের কম হলেও কিশোর ও তরুণদের মধ্যে এর আসক্তি ও জনপ্রিয়তা খুব দ্রুত বাড়ছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করে দেশে তামাকের মতো বহুমাত্রিক ক্ষতিকর পণ্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের রীতিমতো পরিকল্পনা গ্রহণ, দীর্ঘ সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।

এমতাবস্থায় দেশে নতুন আরেকটি ক্ষতিকর পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হলে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। ভবিষ্যতে দেশের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির উপর তৈরি হবে বাড়তি চাপ।  অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার ইতিমধ্যেই রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বর্তমানে সরকারের প্রতি বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট উল্লিখিত বিষয়ে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।

Related News