বান্দরবানে উদযাপিত হচ্ছে প্রবারণা পূর্ণিমা

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বান্দরবান | 2024-10-17 18:02:09

বান্দরবানে উদযাপিত হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী এবং মারমা সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় ওয়াগ্যেই পোয়ে বা প্রবারণা পূর্ণিমা। ওয়াগ্যেই পোয়েকে ঘিরে উৎসব মূখর হয়ে উঠেছে পুরো পাহাড়ী জনপদ বান্দরবান।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জেলা সদর ছাড়াও পাহাড়ি পল্লীগুলোতে চলছে ধর্মীয় ও আদি সামাজিক নানান ঐতিহ্যের অনুষ্ঠান। জগতের মঙ্গল কামনায় বিহারে বিহারে চলছে প্রার্থনা। সকালে বিহারে বিহারে ধর্মীয় গুরুদের ছোয়াইং দান (ভান্তেদের ভাল খাবার পরিবেশন) এবং সমবেত প্রার্থনা করা হয়। সন্ধ্যায় মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।

এটি একদিনের অনুষ্ঠান হলেও বান্দরবানে মারমা আদিবাসীরা দুই দিনব্যাপী এই উৎসব পালন করে নানান আয়োজনে। প্রতিবার প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবকে ঘিরে উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বান্দরবানে ঘটা করে অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবে এবার তা হচ্ছে না। শুধুমাত্র আজ বিকালে বান্দরবানের পুরাতন রাজবাড়ী থেকে রথ টেনে রাজগুরু বৌদ্ধ বিহার ও উজানী পাড়া বৌদ্ধ বিহারে নেওয়া হবে। শুক্রবার বিকালে আবার সেই রথ টেনে সাঙ্গু নদীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের আয়োজন।

প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের এই প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব হলো আত্মশুদ্ধির অনুষ্ঠান, অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণ করা।

আষাঢ়ী পূর্ণিমার পরের দিন থেকে টানা তিন মাসের বর্ষাবাস শেষে বৌদ্ধ নর-নারীরা বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে পঞ্চশীল, অষ্টশীল ও দশশীল গ্রহণ করেন এবং প্রবারণা পূর্ণিমা (মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে:) পালন করে থাকেন।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) গভীর রাতে সাঙ্গু নদীতে রথ বির্সজন ও মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিহারে সমবেত হয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গল প্রার্থনা মধ্য দিয়ে শেষ হবে ওয়াগ্যেই পোয়ে উৎসব।

Related News