ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালিয়ে হত্যা ও নির্যাতনের অপরাধে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল তিনটার দিকে চট্টগ্রামের প্রেস ক্লাবে চত্তরে বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান তারা।
এসময় সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) কার্যালয় ঘেরাও করার ঘোষণা দেন তারা।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) মধ্যরাতে চট্টগ্রামের জামালখানে পতিত স্বৈরাচারের পক্ষে ছাত্রলীগের মিছিলের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়।
বিক্ষোভ থেকে ‘আবার ভাই কবরে, খুনি কেন ভারতে’, ‘খুনি হাসিনার দালালেরা, হুশিয়ার সাবধান’, ‘মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘যারা জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের উপর গুলি চালিয়েছে, আমাদের ভাই-বোনদের হত্যা করেছে। নির্বিচারে গুলি চালিয়েছ। আমরা দেখতে পাচ্ছি তারা এখনো অবাধে ঘোরাফেরা করছে। তারই ফল স্বরুপ আমরা দেখেছি তারা হাইকোর্টে খুনী হাসিনার পক্ষে স্লোগান দেয়। রাতের আধঁরে ছাত্রলীগ খুনী হাসিনা জন্য স্লোগান দেয়।’
‘তারা ভেবেছিলো আমরা ঘুমাইয়া গেছি, তারা বুঝে নাই আমরা তাদের গর্ত থেকে বের হওয়ার সুযোগ দিয়েছি। আমরা পরিস্কার করে বলে দিতে চাই। যারা এখনো খুনী হাসিনার পক্ষ নিয়ে, স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়ে তারা জুলাই গণহত্যার সাথে জড়িত। তারা কোনো না কোনো ভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।’- বলেন রাফি।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই অতি দ্রুত তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে বিষ দাঁত ভেঙ্গে দিতে। প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহবান থাকবে দ্রুত সময়ের মধ্যে যারা সন্ত্রাসী আছে, জুলাই অভ্যুত্থানে হামলায় সরাসরি জড়িত আছে, তাদের গ্রেফতার করে যথাযথ শাস্তি দিতে হবে।’
এখনো শহীদের রক্তের দাগ শুকায় নাই উল্লেখ করে খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘যে চট্টগ্রামের মাটিতে শহীদ ওয়াসিম, শহীদ শান্ত এবং শহীদ হৃদয় তরুয়ার রক্ত লেগে আছে। সেই রাজপথে তারা স্লোগান দেওয়ার মত দুঃসাহস দেখিয়েছে। আমরা মনে করি এখানে প্রশাসনের ব্যর্থতা রয়েছে।’
এর আগে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিকেল ৩টা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রেসক্লাব চত্বরে সমবেত হতে থাকে। বিকেল চারটার দিকে প্রেসক্লাব চত্বরে ছাড়িয়ে জামালখান পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায় সমাবেশ। বিক্ষোভে অংশ নেন অনেক নারী শিক্ষার্থীও।