শেখ মুজিবকে জাতির পিতা নামে প্রতিষ্ঠা করতে জোর করে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে থেকে ৯ মাস পর বাংলাদেশে এসে নিজেকে জাতির পিতা দাবি করবে, তা আমরা কখনোই মেনে নেবো না।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮ টায় কুমিল্লা নগরীর টাউনহল থেকে মশাল মিছিল শেষে নগরীর রাজগঞ্জ এলাকায় সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে মেজর জিয়াউর রহমানের অবদানকে অস্বীকার করা হয়েছে। যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন, তাকে রাজাকার পর্যন্ত বলা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে যাদের অবদান আছে তাদের যথাযথ হিস্যা আমরা দাবি করি। সেখানে সকল শহিদসহ তাজউদ্দীন আহমদকে হিস্যা দিতে হবে।

হাসনাত বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগের নামে ধরে ধরে মামলা দিন। তাদের ঘর থেকে ধরে এনে পুলিশে সোপর্দ করুন। আওয়ামী লীগ যেভাবে মানবাধিকার হরণ করেছে, তাদের আর পুনর্বাসন করার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই। সন্ত্রাসী হিসাবে আইন করে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। আপনারা যারা ছাত্রদল, শিবির, ডান বা বামদল আছেন। আমাদের সবার পরিচয় আমরা মাজলুম।

এসময় মশাল মিছিলে শিক্ষার্থীরা 'দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা,  ঢাকা; আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ, লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে ভাই, ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই' স্লোগান তুলে।

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হান্নান মাসুদ, কুমিল্লার সমন্বয়ক আবু মুহাম্মদ রায়হান, মোহাম্মদ সাকিব হোসাইন, রাসেদুল হাসান, রুবেল হোসাইন প্রমুখ।

সিলেটের গোলাপগঞ্জে স্ত্রীর হাতে মাওলানা রুহুল আমীন (৩৭) নামের এক ইমাম খুন হয়েছেন।

শনিবার (১৯অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হিলালপুর একটি ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এসময় ঘাতক স্ত্রী নাদিয়া বেগমকে (৪০) আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

নিহত ইমাম রুহুল আমিন ডৌবাড়ি ইউনিয়নের গ্রামের লামা ডেমি গ্রামের শহীদুর রহমানের ছেলে। তিনি হিলালপুর একটি মসজিদের ইমামের দায়িত্বে ছিলেন ও হেতিমগঞ্জ মসকাপুরে অবস্থিত ফয়জে জলীল আতহারিয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষিকের দায়িত্বে ছিলেন।

নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাদিয়া বেগম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রুহুল আমীনের সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর ২০২০ সালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামীর চাপে তিনি দেশে চলে আসেন। সম্প্রতি রহুল আরেকটি বিয়ে করেছেন বলে জানা গেছে। আর ওই বিয়ে নিয়েই নাদিয়া আর রুহুল আমীনের মধ্যে মনমালিন্য চলছিল।

সূত্র আরও জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে স্ত্রী নাদিয়া বেগম স্বামী রুহুল আমীনকে প্রথম অচেতন করে পরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন। পরে তিনি রুহুল আমীনের বাবার বাড়িতে গিয়ে তাদের আত্মীয় স্বজনকে জানান তার স্বামীকে তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। এরপর বিকেল ৫টার দিকে এলাকাবাসী ঘরের খাটের নিচ থেকে রুহুল আমীনের মরদেহ উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে পুলিশ স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এব্যাপারে বার্তা২৪.কমকে রাত সাড়ে ৯টায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের বলেন, রুহুল আমীনকে অচেতন করে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে । ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে। আজ সোয়া চারটার দিকে আমাদেরকে জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন, রুহুলের প্রথম স্ত্রী নাদিয়াকে আটক করা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি আরেকটি বিয়ে করেছেন তার ওই স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকে এবং প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে একই বাসায় থাকতেন। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বৈষম্যহীন কল্যাণকর নাগরিক জীবন গঠনের লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে ইসলামী আন্দোলনের ব্যানারে জেলা শহরের একটি চাইনিজ রেঁস্তোরায় এ আয়োজন করা হয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির সভাপতি অনারারি ক্যাপ্টেন (অবঃ) মোহাম্মদ ইব্রাহিম সভায় সভপতিত্ব করেন।

জেলা ইসলামী আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেনের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন, সেক্রেটারী মো. মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা সদস্য জওহর লাল ভৌমিক, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শংকর মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মিলন মন্ডল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বপন চন্দ্র নাথ ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল সাহা প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে অনারারী ক্যাপ্টেন (অবঃ) মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আগামির কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন করতে চায়।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিমুল সাহা বলেন, ৭ দফা দাবি নিয়ে আমরা বিগত সরকারের আমলে আন্দোলন করেছি। এখন তা ৮ দফা দাবি। আমরা ঢাকায় দাবিগুলো বাস্তবায়নে অনশন করেছিলাম। তখন চিটিংবাজী করে আমাদের অনশন ভাঙানো হয়েছে। আমাদের দাবি পূরণ হয়নি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাংলাদেশের মানুষ ৫০ বছর পিছিয়েছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। তারা ভিক্ষুকের টাকা পর্যন্ত চুরি করেছে। যারা ভিক্ষুকের টাকা চুরি করে তাদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই।

তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের ভালবাসা ও কল্যানের রাজনীতি করে। আগামী দিনে জনগণের শাসক নয় সেবক হিসেবেই থাকতে চায় বিএনপি। জনগণ থেকে প্রত্যাখাত আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের আওয়াজ উঠেছে, তারা আগামী একশত বছরেও ঘুরে দাড়াতে পারবে না।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুর কাজিরকান্দি ঈদগাহ মাঠে ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক শাহ আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বি.জি রশিদ নওশের, সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদিন সরকার, সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শহিদুল ইসলাম, নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ইলিয়াছ আলী ভূইয়া, সাবেক জিএস এস. এম শরীফ, বিএনপি নেতা ডাঃ নজরুল ইসলাম, আল আমিন, কমল মেম্বার প্রমুখ।

খায়রুল কবির খোকন বলেন, শেখ মজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে এক দলীয় শাসন বাকশাল কায়েম করে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ এবং আওয়ামী লীগের কবর রচনা করেছিলেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সব দলের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের মূল দাবি হলো; খুব দ্রুত নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। দেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থীকে বেঁছে নিতে অধির আগ্রহে বসে আছে। দেশে বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ যে পরিমাণ লুটপাট হয়েছে তা পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই। বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে জনগণের একটাই দাবি রোড ম্যাপ অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।