বঙ্গভবনে প্রবেশকারীদের পুলিশ কেন প্রতিহত করল না, প্রশ্ন নুরের

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-10-23 16:32:23

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার রাতে চল্লিশজন বঙ্গভবনে ঢুকার চেষ্টা করলো। পুলিশ কি করলো? কেনো তাদের প্রতিহত করা হলো না? একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেলে এর দায়িত্ব কে নিতো?

বুধবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও, বন্দর বাঁচাও আন্দোলন-এর উদ্যাগ্যে "চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশীদের হাতে তুলে দেবার ষড়যন্ত্রের" প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর এ প্রশ্ন রাখেন। 

নুর বলেন, বঙ্গভবনের সামনে গণঅধিকার পরিষদের একটি ব্যানারে বিক্ষোভ করা হয়। তারা গণঅধিকার পরিষদের কেউ নয়। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব স্পষ্ট বলেছেন, এটি একটি মীমাসিংত বিষয়। এটিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিক দলের নেতারা যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে রাষ্ট্রপতি থাকবে আর যদি না চায় তাহলে থাকবে না। অতি উৎসাহী হয়ে কেউ দেশকে অস্থির করবেন না। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। তবে, সরকার যদি জনগণের স্বার্থে কাজ না করে তাহলে রাজপথেই তার প্রতিবাদ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করেছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের অর্থনীতির বড় বড় উৎসগুলো বিদেশী শক্তির কাছে দিয়ে দিয়েছে। দেশের সম্পদ দেশের মানুষ পরিচালনা করলে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং দেশের অর্থ দেশে থাকবে। কিছু অসাধু আমলা নিজেদের আখের গোছাতে দেশের ক্ষতি করছে। 

রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএলডিপির মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, জমিয়ত ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকবাল, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।

Related News