রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও জাতীয় পার্টি বাদে দেশের সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্যের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গত ৩ আগস্ট শহিদ মিনার থেকে যে এক দফা ঘোষণা হয়েছিলো তার মধ্যে ছিলো ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। আমাদের এক দফার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে গণতন্ত্রকামী প্রত্যেকটি রাজনৈতক দল ৫ আগস্ট রাজপথে নেমে এসেছিলো। আমাদের নেতৃত্বে তারা রাস্তায় এসে রক্ত দিয়েছিলো। সেদিন আমরা আমাদের প্রাথমিক অর্জন শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করতে পেরেছিলাম। কিন্তু ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থার পূর্ণাঙ্গ পতন এখনো হয়নি। যারা গণঅভ্যুত্তানের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে তারা কখনোই ৭২ এর সংবিধানের পক্ষে থাকতে পারে না। কারণ ৭২ এর সংবিধানের ওপর ভর করেই দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি শেখ হাসিনাকে যখনই পদত্যাগ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে, যখনই নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলা হয়েছে তখনই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার কথা বলেছে। এখনো কিছু রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগের বিষয়ে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার কথা বলছে।
৭২ এর সংবিধান বাতিল চেয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আবার নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে। ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারে এসব কোনো ক্লস রাখা যাবে না। বাকশালিদের সংবিধান এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়। গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলের ঐক্য চাচ্ছি। ৭২ সংবিধান বাতিল হলে চুপ্পুর বাতিলে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা আর থাকবে না।
গণতন্ত্রকামী সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আমাদের এক দফার মধ্যে ছিলো শেখ হাসিনা সরকার ও তার রিজিমের পতন। হাসিনার পতন হলেও বঙ্গভবনে তার রিজিমের লোকজন রয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, জাতীয় পার্টি ছাড়া বাকি যে সকল দল রয়েছে এবং গণঅভ্যুত্থানের যে শক্তি রয়েছে তাদেরকে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিচ্ছি।
এ সময় কোনো রাজনৈতিক দল যদি এ আহ্বানে সাড়া না দেন তাহলে তাদেরকে ত্যাগ করে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।