গাইবান্ধার বিলাসবহুল ভবনের নকশা বহির্ভূত অংশ অপসারণের নোটিশ

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা | 2024-10-31 00:27:44

গাইবান্ধার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ল্যাব সহকারি মিজানুর রহমান সবুজের সেই বিলাসবহুল ৫ তলা ভবন অপসারণে নোটিশ দিয়েছে গাইবান্ধা পৌর প্রশাসন। একই সাথে পূর্বের নোটিশ আমলে না নেওয়ার সন্তোষজনক কারণ আগামী দশ দিনের মধ্যেই জানাতে বলা হয়েছে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে গাইবান্ধা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন স্বাক্ষরিত "অনুমোদন বিহীন নকশার বর্ধিতাংশ অপসারণ এবং পৌরসভার নির্দেশনা অমান্যে জবাব দাখিল সংক্রান্ত" একটি পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে গত ২৫ অক্টোবর "গাইবান্ধায় ল্যাব সহকারীর বিলাসবহুল ভবন, আছে গ্রামেও" শিরোনামে মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কমে স্পেশাল সংবাদ প্রকাশ হয়।

অনুমোদন বিহীন নক্সার বর্ধিতাংশ অপসারণ সংক্রান্ত নোটিশে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর পৌরসভা হতে অনুমোদনকৃত নকশার বহির্ভূত অংশ অপসারণ করার জন্য আপনাকে একটি নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু আপনি অদ্যবধি বহির্ভূত অংশ অপসারণ করেন নাই। এছাড়া আপনি পৌরসভার নির্দেশনা অমান্য/অগ্রাহ্য করেছেন। যা স্থানীয় সরকার আইন (পৌরসভা)- ২০০৯ এর দ্বিতীয় তফসিলের ৩৬নং ও ৩৭নং অনুচ্ছেদ এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ এর পরিপন্থী।

এছাড়া নোটিশে আরও বলা হয়েছে পত্র প্রাপ্তির সাত কার্যদিবসের মধ্যে ভবনের অনুমোদন বিহীন নকশার বহির্ভূত অংশ অপসারণ করে ইতিপূর্বে জারিকৃত পত্রের নির্দেশনা অমান্য করার সন্তোষজনক লিখিত জবাব দাখিলের জন্যও বলা হয়।

অন্যথায় স্থানীয় সরকার আইন (পৌরসভা) -২০০৯ এর দ্বিতীয় তফসিলের ৩৭ নং অনুচ্ছেদ ও ১১৭ ধারা এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-১৯৯৬ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মেও নোটিশে অবগত করা হয়।

উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান সবুজ গাইবান্ধা পৌরসভার থানা পাড়ায় (৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর মৌজার (জেএল নং ৯৯) ৫ শতাংশ জমির উপর ভবন নির্মাণের আবেদন করলে আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ১২ জুন ভবন নির্মাণ আইন ১৯৫২-৫৩ এর ধারা (৩) অনুযায়ী তিন (৩) তলা আবাসিক (পাকা) ভবনের অনুমোদন দেয় গাইবান্ধা পৌরসভা। কিন্তু সেখানে নিয়মবহির্ভূতভাবে ওই ৩ তলার উপরে আরো ২ তলা সহ একইভাবে মোট ৫ তলা ভবন নির্মাণ করেন। যা পৌরসভার ভবন আইন লঙ্ঘন এবং অপরাধ।

পরে অনুমোদনকৃত নক্সার বহির্ভূত ভবনের কাজ করায় একই বছরের ৭ নভেম্বর প্রথম দফায় ওই ভবনের "নক্সা বহির্ভূত অংশ অপসারণে" তৎকালীন মেয়র মতলুবর রহমান স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ দেওয়া হয়।

কিন্তু, পৌরসভার ওই নোটিশের কোনো তোয়াক্কাই করেনি ভবনের মালিক মিজানুর রহমান সবুজ।

অপরদিকে, পৌরসভার পক্ষ থেকে নোটিশ প্রদানের ১১ মাস পার হলেও আর কোনো ধরণের পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পরে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে ওই ভবন অপসারণে দ্বিতীয় আজ আবারো নোটিশ দিল পৌরসভা।

Related News