পাবনার বেড়া উপজেলার বৃশালিখার এক বাসিন্দার থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে সাবেক ডেপুটি স্পিকার এড. সামছুল হক টুকু, তার বড় ছেলে আসিফ শামস রঞ্জন ও তার ভাই আ. বাতেনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মির্জা মেহেদি হাসান দখল, চাঁদাবাজী, অর্থ আত্মসাত ও ভয়ভীতি প্রদর্শণের অভিযোগে বুধবার (৩০ অক্টোবর) দ্রুত বিচার আইনে পাবনা আমলী আদালত-১ এ এই মামলাটি দায়ের করেন। বাদী ওই এলাকার ব্যবসায়ী ও বেড়া পৌরসভার এক নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
বাদীর আইনজীবি অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন শাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পাবনা আমলী আদালত-১ এর বিচারক মোরশেদুল আলম মামলাটি আমলে নিয়ে বেড়া মডেল থানাকে এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এতে ১১ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার নামীয় ১১ জন আসামীরা হলেন, সাবেক ডেপুটি স্পীকার শামসুল হক টুকু (৭৬), তার ভাই বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেন (৭০), টুকুর ছেলে বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট আসিফ শামস রঞ্জন (৪৫), বেড়া পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম (৫৫), আব্দুল হালিম (৪৫), আলতাফ হোসেন (৬৭), আবু হানিফ (৭৫), আশরাফ প্রামাণিক (৫২), শাহাজাহান আলী ইউনুস (৬১), আলহাজ মোল্লা (৫৮), আব্দুস সাত্তার সরদার (৬২)।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্তরা ২০১৪ সালের ৬ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিতে অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে বৃশালিখা মহল্লার বাসিন্দা মির্জা মেহেদি হাসানের কাছে গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় অভিযুক্তরা মেহেদি হাসানের পৈত্রিক জমিতে থাকা ২০টি দোকান ও ৫০টি গোডাউন জবর দখল করে নেন। সেইসাথে ওই সব দোকান গোডাউনের ভাড়া না তুলতে বাদিকে হত্যার হুমকি দেন তারা। ২০১৪ সাল থেকে বিগত ১০ বছর ধরে অভিযুক্তরা হুমকি ধামকি দিয়ে ভাড়ার টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন।
এ বিষয়ে একাধিকবার থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে তারা কোনো অভিযোগ এমনকি জিডি পর্যন্ত নেয়নি। এতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মেহেদী হাসানের গত ১০ বছরে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। বাদির অভিযোগ, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর ১০ সেপ্টেম্বর ওইসব দোকান গোডাউনের ভাড়া তুলতে গেলে মেহেদী হাসানকে আবারো ভয়ভীতি দেখিয়ে ভাড়ার টাকা তুলতে নিষেধ করেন অভিযুক্তদের কয়েকজন। এছাড়া ১২ সেপ্টেম্বর জমির মালিকরা অভিযুক্ত কয়েকজনকে দোকান ও গোডাউন ভাড়া তুলতে নিষেধ করলে তারা উল্টো জমির মালিকদের কাছে আবারো এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং হত্যার হুমকি দেন। এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে তারা আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদি মির্জা মেহেদী হাসান বলেন, '২০১৪ সাল থেকে মামলা করতে বা জিডি করতে অনেকবার বেড়া মডেল থানায় গেলেও পুলিশ তাদের ক্ষমতার প্রভাবে কখনও আমাদের কোনো অভিযোগ বা মামলা নেয়নি। দেশের পট পরিবর্তনের পর টুকু, তার ভাই বাতেন ও ছেলে রঞ্জন পলাতক থাকলেও, তাদের অন্য সহযোগিরা এখনও দখল বাণিজ্য করে চলেছে। থানার ওসি, ইউএনও, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সবার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে আমার জমি ও সম্পদ দখলের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আশা করছি ন্যায়বিচার পাবো।'
মামলার প্রধান অভিযুক্ত টুকু গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। তার ছেলে ও ভাই ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। একইসাথে মামলার অন্যান্য কয়েক আসামির সাথে চলে করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
নরসিংদীর রায়পুরায় রাবেয়া খাতুন (৫৩) নামে এক বিধবাকে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই নরসিংদী।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ পিপিনগর গ্রামের মো: নাসির উদ্দিনের ছেলে মোঃ সুমন (২০), একই এরাকার বাহেরচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে জীবন (১৯) এবং আঃ রহিম মিয়া (চুন্নু)র ছেলে স্বপন (৫৫)।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) পিবিআই নরসিংদী কার্যালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিবিআই নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো: এনায়েত হোসেন মান্নান।
বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, জেলার রায়পুরা উপজেলার বাহেরচর পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (৫৩)। তিনি প্রতিদিনের মতো ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন ২৫ডিসেম্বর সকালে তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে রাবেয়ার স্বজন রেখা বেগম ঘরের শিকল খোলে ঘরে ঢুকেই মেঝেতে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। ডাক চিৎকার শোনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এসময় মৃতদেহের গলায় পরিহিত কাপড় বাধাসহ বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পায়। তখন ধারনা করা হয় অজ্ঞাতনামা আসামীগণ রাতে ঘরে সিঁধ কেটে প্রবেশ করে রাবিয়াকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এরপর রাবেয়া খাতুন হত্যাকান্ডের বিষয়ে তার ভাই আমির হামজা রায়পুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আলামত বিহীন মামলাটি দীর্ঘদিনেও কোন অগ্রগতি না হওয়ায় পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের আদেশক্রমে পিবিআই নরসিংদীকে মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়।
পিবিআই নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোঃ এনায়েত হোসেন মান্নানের দিকনির্দেশনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে পরিদর্শক সাইফুল আলমকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত সুমন (২০) নামের একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার দেয়া তথ্যমতে জীবন (১৯) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার পরিকল্পনা মতো সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে হত্যার পর ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্যমতে স্বপনকে গ্রেফতার করা হয় এবং স্বপনের দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই আরও জানান, নিহত রাবেয়া খাতুনের সাথে গ্রেফতারকৃত স্বপন ও কামালের সাথে পূর্ববিরোধের কারণে প্রকাশ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। আর এর জের ধরেই এই হত্যার ছক আকাঁ হয়।
ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়না তদন্তের মাধ্যমে ডিএনএ পরীক্ষা শেষে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়েছে পিবিআই।
ময়মনসিংহের ভালুকায় ভিমরুলের কামড়ে তুহিন (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তুহিনের মাসহ আরও পাঁচ জন।
নিহত তুহিন জেলার ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের তালুটিয়া গ্রামে মো. আশরাফুলের ছেলে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তুহিন মারা যায়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ শফিক উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুপুরের দিকে ভালুকার উথুরা থেকে ভিমরুলের কামড়ে আহত ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে রাত ৮ টার দিকে শিশু তুহিন মারা যায়। নিহত তুহিনের মা লাইলীর অবস্থা গুরুতর। অন্যরা এ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন আছেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের তালুটিয়া গ্রামে বাড়ীর পাশের রাস্তায় ধানক্ষেতে পড়ে থাকা শুকনো তালের পাতা আনতে যায় ওই গ্রামের হাফিজুলের স্ত্রী নুর জাহান (৪০)। তালের পাতা টানতেই ভিমরুল নুর জাহানকে কামড় দেয়। এতে নুর জাহান ডাক-চিৎকার দিলে তার শিশু ছেলে নাফির (৫), তাওহীদ (৭) একই এলাকার আশরাফুলের স্ত্রী লাইলী বেগম ও তার শিশু ছেলে তুহিন (৬) এবং হৃদয় মিয়ার স্ত্রী রিমি (১৯) তার কাছে যায়। এসময় নিহত তুহিনসহ ৬ জনকে কামড়ে আহত করে।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে সেখানে রাত ৮ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তুহিন মারা যায়।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামছুল হুদা খান বলেন, শুনেছি তুহিন নামে এক শিশু ভিমরুল কামড়ে নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও পাঁচ জন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন, 'মজলুমদের উপর যত বেশি জুলুম করে তারা তত বেশি অধঃপতন হয়। তেমনি ফ্যাসিবাদী ও জুলুমবাজ সরকার হাসিনাও সারা দুনিয়ার কাছে কলঙ্কিত হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। হাসিনার এই দেশত্যাগ মূলত শহীদ ও পঙ্গুদের রক্তের বিনিময়ে সম্ভব হয়েছে। মূলত শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশ আজ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে।'
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে কর্ণফুলী ক্রসিংয়ের এস.আর স্কয়ারর কমিউনিটি হলে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ছাত্রজনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত, পঙ্গু ও কারা নির্যাতিতদের সম্মানে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামী।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টীম সদস্য অধ্যাপক জাফর সাদেক।
প্রধান অতিথি মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, শহীদের রক্ত ও নির্যাতিত ভাইদের আত্মত্যাগ এদেশের ইসলামী আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত করবে। জেল, জুলুম ও নির্যাতন করে ইসলামী আন্দোলনের অগ্রযাত্রা স্তব্ধ করা যাবেনা। ইসলামি আন্দোলনের ভাইয়েরা আগামী দিনে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে ইসলামের পক্ষে বিজয় নিশ্চিত করতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, চট্টলার মানুষ সারা বাংলার মানুষের কাছে প্রেরণা তৈরি করেছে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা বাংলাদেশের মাটিতে ইসলামের শত্রুদের হাতে ছেড়ে দিতে পারেনা। শহীদেরা কখনো মৃত্যুবরণ করেনা, তারা বার বার দুনিয়ায় এসে ইসলামের জন্য প্রাণ দিতে আহাজারি করে। আমরা প্রতিশোধ গ্রহণ করতে চায় না। আমরা বাংলাদেশকে ইসরামের বাংলাদেশ হিসেবে গঠন করার মধ্যমেই প্রতিশোধ নেয়া হবে। ইসলামী আন্দোরনের মর্যাদাকে সমুন্নত করার চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ।
প্রধান বক্তার শাহজাহান চৌধুরী বলেন, শহীদ ভাইদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলছি আল্লাহ ছাত্রজনতার মাধ্যমে আপনাদের রক্তের বদলা দিয়েছেন। ফ্যাসিবাদী সরকার অনেক চেষ্টা করার পরও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার ইসলামী আন্দোলনকে দমাতে পারে নি। ভবিষ্যতেও পারবে না, ইনশাআল্লাহ। ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে আজও যারা ষড়যন্ত্র করার চিন্তা করেছেন, তাদের আর ছাড় দেয়া হবেনা। লুন্ঠতরাজ শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। অথচ তারা ১০ টাকায় চাউল খাওয়াবে বলে মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। এ কাজ জামায়াত ছাড়া কেউ আদায় করতে পারবে না। জামায়াতে ইসলামী ছাড়া সবাই দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি করার পরিকল্পনা করে ক্ষমতায় যেতে চায়। তাই আজকের কোটি কোটি জনতা জামায়াতে ইসলামীকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক জেলা আমীর অধ্যাপক জাফর সাদেক বলেন, শহীদেরা জীবিত। শহীদদের মৃত্যু হয়না। আজ শহীদদের রেখে যাওয়া কাজ বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আঞ্জাম দিতে হবে। এ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা অতীতেও কর্মীদের ত্যাগের বিনিময়ে ভূমিকা রেখেছিল। ভবিষ্যতেও আরো উর্বর থেকে উর্বরতর হবে ইনশাআল্লাহ।
সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, নির্যাতিত ভাইদের ত্যাগের জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করবো যেন আপনাদের দুনিয়া ও আখেরাতকে আল্লাহ এ ত্যাগের বিনিময়ে উত্তম জাযাহ দান করেন। শহীদদের ত্যাগ আজীবন ধরে রাখার চেষ্টা করতে ইসলামী আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
জেলা সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হকে সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী মুহাম্মদ জাকারিয়া, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ নাছের, ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম পশ্চিম জেলা সভাপতি ছাত্রনেতা আইয়ুবুল ইসলাম, লোহাগাড়া উপজেলা আমীর অধ্যাপক আসাদ উল্লাহ ইসলামাবাদী, বাঁশখালী উপজেলা আমীর ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল মোস্তফা, সাতকানিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা কামাল উদ্দিন, কালারপুল সাংগঠনিক থানা আমীর মাস্টার নাছির উদ্দীন, কর্ণফুলী উপজেলা আমীর মাস্টার মনির আবছার, সাতকানিয়া পৌরসভা আমীর মুহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, শহীদ সালাউদ্দিন এর বড় ভাই মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া, আন্দোলনে আহত (পঙ্গু) কামাল উদ্দিন প্রমুখ।