নরসিংদীতে বিধবা হত্যায় গ্রেফতার ৩

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,নরসিংদী | 2024-10-31 01:14:08

নরসিংদীর রায়পুরায় রাবেয়া খাতুন (৫৩) নামে এক বিধবাকে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই নরসিংদী।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার আদিয়াবাদ পিপিনগর গ্রামের মো: নাসির উদ্দিনের ছেলে মোঃ সুমন (২০), একই এরাকার বাহেরচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে জীবন (১৯) এবং আঃ রহিম মিয়া (চুন্নু)র ছেলে স্বপন (৫৫)।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) পিবিআই নরসিংদী কার্যালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিবিআই নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো: এনায়েত হোসেন মান্নান।

বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, জেলার রায়পুরা উপজেলার বাহেরচর পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (৫৩)। তিনি প্রতিদিনের মতো ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন ২৫ডিসেম্বর সকালে তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে রাবেয়ার স্বজন রেখা বেগম ঘরের শিকল খোলে ঘরে ঢুকেই মেঝেতে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। ডাক চিৎকার শোনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এসময় মৃতদেহের গলায় পরিহিত কাপড় বাধাসহ বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পায়। তখন ধারনা করা হয় অজ্ঞাতনামা আসামীগণ রাতে ঘরে সিঁধ কেটে প্রবেশ করে রাবিয়াকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এরপর রাবেয়া খাতুন হত্যাকান্ডের বিষয়ে তার ভাই আমির হামজা রায়পুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আলামত বিহীন মামলাটি দীর্ঘদিনেও কোন অগ্রগতি না হওয়ায় পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের আদেশক্রমে পিবিআই নরসিংদীকে মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়।

পিবিআই নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোঃ এনায়েত হোসেন মান্নানের দিকনির্দেশনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে পরিদর্শক সাইফুল আলমকে দায়িত্ব দেয়া হয়।

অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত সুমন (২০) নামের একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার দেয়া তথ্যমতে জীবন (১৯) নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার পরিকল্পনা মতো সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে হত্যার পর ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। তাদের দেয়া তথ্যমতে স্বপনকে গ্রেফতার করা হয় এবং স্বপনের দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই আরও জানান, নিহত রাবেয়া খাতুনের সাথে গ্রেফতারকৃত স্বপন ও কামালের সাথে পূর্ববিরোধের কারণে প্রকাশ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। আর এর জের ধরেই এই হত্যার ছক আকাঁ হয়।

ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়না তদন্তের মাধ্যমে ডিএনএ পরীক্ষা শেষে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়েছে পিবিআই।

Related News