জামালপুরে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে ৬৫ বছরের পুরোনো গবাখালী খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদফতর যৌথভাবে এই কার্যক্রম উদ্বোধনের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছনতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইফতেখার ইউনুস, পৌর প্রশাসক মৌসুমী খানম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুন, জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য ৬৫ বছর আগে এই খাল খনন করা হয়। তখন শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি খালের পানি ব্যবহার করে কৃষিকাজ ও মৎস্য আহরণ ছিল খালের অন্যতম উদ্দেশ্য। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার বা পরিষ্কার না করায় খালের প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় শহরে। খালটিকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পুরনো এই গবাখালী খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম জানান, শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে আজ এই খাল পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু হলো। ৩০ ফুট প্রস্থের ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই খালের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে জেলা প্রশাসন ছাড়াও যুব উন্নয়ন অধিদফতর, পৌরসভা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সম্পৃক্ত রয়েছেন। খালটির শহরের অংশে কার্যক্রম শুরু হলেও ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত এই খালের সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান থাকবে।
খালের ২টি পয়েন্টে প্রাথমিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ করা হয়। এতে অংশ নেয় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দুই শতাধিক সদস্য। মোট ৪টি পয়েন্টে আগামী এক সপ্তাহ এই কর্যক্রম পরিচালিত হবে।
পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কারের মাধ্যমে গবা খালের প্রবাহ স্বাভাবিক রাখা হলে শহরের পানি নিষ্কাশন ও বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব হবে। খালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কার কাজ নিয়মিত চলমান থাকবে বলে জানা গেছে। জামালপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের গবাখালী খাল।
পৌর শহরের শেখের ভিটা এলাকা থেকে শুরু হয়ে খালটি শহরের মনিরাজপুর, ছুটগড় হয়ে কেন্দুয়া ইউনিয়নের নাকাটি, দামেশ্বর হয়ে ঝিনাই নদীতে গিয়ে শেষ হয়েছে।