বিচার পায়নি গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালরা

, জাতীয়

মাসুম বিল্লাহ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা | 2024-11-07 14:27:50

৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীতে হামলা-মামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও তিন সাঁওতালকে হত্যার ৯ বছর। ঘটনার সেই থেকে হামলার এই দিনটিকে ‘সাঁওতাল হত্যা দিবস' হিসেবে পালন করে আসছে সাঁওতালরা।

দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকাল থেকে নানা কর্মসূচি পালন করে তারা। সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জয়পুর গ্রামে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে ফুল দেওয়া ও মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। পরে মাদারপুর ও জয়পুর গ্রাম থেকে সাঁওতালরা জাতীয় ও কালো পতাকা, তীর-ধনুক, বাদ্যযন্ত্র, ব্যানার ও বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ফেস্টুনসহ একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গাইবান্ধা জেলা শহরে প্রবেশ করে। শহরে স্থানীয় নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) সামনে থেকে মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সমাবেশে মিলিত হয়। সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ ও জনউদ্যোগ গাইবান্ধা যৌথভাবে এসব কর্মসূচি পালন করে।

তবে, এত দিনেও ওই ঘটনায় হওয়া মামলার শুরুই হয়নি বিচার কাজ। দায়ের হওয়া মামলাটি পিবিআইয়ের তদন্তের নারাজির পর সিআইডির তদন্ত শেষে চার্জশিট জমা হলেও পরে আবারও নারাজির শুনানিতে চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপারকে অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ অবস্থায় ৯ বছরেও মামলাটির দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকা আর প্রধান অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ সাঁওতাল নিহত-আহতের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তরা।

তবে, মামলার এ দীর্ঘসূত্রিতার পিছনে মামলার বাদীর বারবার নারাজিকেই দুষছেন রাষ্ট্রপক্ষ।

অন্যদিকে, পুলিশসহ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষের ঘটনার পর চিনিকল কর্তৃপক্ষ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ওইসব জমি তাদের দখলে নেয়। তবে, সাঁওতালরা ঘুরে দাঁড়াতে চিনিকলের কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে গত চার বছর থেকে ইক্ষু খামারের সিংহভাগ জায়গা দখল করে বসতি স্থাপনসহ জমিতে ধান ও পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেছেন। খামারের সিংহভাগ জায়গা সাঁওতালদের দখলের বিষয়ে প্রশাসন ও মিল কর্তৃপক্ষ নীরব থাকলেও, আতঙ্ক নিয়েই আশঙ্কার জমিতে বসবাস করছেন বলে জানিয়েছেন সাঁওতালরা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৪ সালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের রংপুর সুগার মিলস লিমিটেড আখ চাষের জন্য সাপমারা ও কাটাবাড়ী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের এক হাজার ৮'শ ৪২ দশমিক ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করে রংপুর চিনিকল। ৭৩ শতাংশ মুসলমান আর ২৭ শতাংশ সাঁওতালদের জমি অধিগ্রহণের পর ‘সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম’ নামে নামকরণ করা হয়। এর কয়েক বছর পর অধিগ্রহণকৃত জমি মিল কর্তৃপক্ষের কাছে ইজারা নিয়ে ধান, পাট ও তামাকসহ বিভিন্ন আবাদ করে আসছিল সাঁওতালরা। পরে ২০০২ সালে অধিগ্রহণ চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে বাপ-দাদার জমি ফেরত চেয়ে আন্দোলন শুরু করেন সাঁওতালরা। আর ২০১৪ সালে তারা গঠন করে ‘সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি’। এরপর চলতে থাকে সাঁওতাল-বাঙালিদের ভূমি উদ্ধারের মানববন্ধন, মিছিল-মিটিংসহ বিভিন্ন কর্মসূচি।

এরপর ২০১৬ সালের ১ জুলাই সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের প্রায় ১০০ একর জমিতে ঝুপড়ি ঘর নির্মাণ করে বসবাস আর জমিতে চাষাবাদ শুরু করেন সাঁওতাল-বাঙালিরা। বাকি জমিতে চিনিকল কর্তৃপক্ষ আখ রোপণ করে।

পরে হঠাৎ কোনো নোটিশ ছাড়াই ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সকালে আখ কাটা নিয়ে পুলিশসহ চিনিকল শ্রমিক কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে চারজন সাঁওতাল গুলিবিদ্ধ হলেও শ্যামল হেমরম, মঙ্গল মার্ডি ও রমেশ টুডু নামে তিনজন নিহত ও উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়। পরে ওই দিন সন্ধ্যার দিকেই ঘরবাড়িতে আগুন দিয়ে সাঁওতালদের উচ্ছেদ করে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। বাড়িঘরে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের আগুন দেওয়ার ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশও হয় সে সময়। হামলার ঘটনায় সাঁওতালদের পক্ষে থমাস হেমব্রম ওই বছরের ২৬ নভেম্বর গাইবান্ধা- ৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, রংপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল আওয়াল, তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল হান্নান, খামারের ব্যবস্থাপক আব্দুল মজিদ, সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল ও কাটাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রফিকসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশসহ ৫'শ-৬'শ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ২৫ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় লুট করা একটি পাওয়ার টিলার, দুটি শ্যালো মেশিন, একটি ভ্যান ও ৫৬টি ঢেউটিন। আসামিদের মধ্যে গোবিন্দগঞ্জের সারাই গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে মিঠু মিয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন আদালতে।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই ৯০ জনকে আসামি করে ২০১৯ সালের ২৮ জুন গোবিন্দগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলেও প্রধান আসামি সাংসদ আবুল কালাম আজাদসহ প্রকৃত দোষীদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ এনে সেই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আদালতে নারাজি পিটিশন করেন মামলার বাদী থমাস হেমব্রম। পরে সেটি নারাজি পিটিশনের প্রেক্ষিতে একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪৯৬ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। সেখানে মামলার মূল আসামিদের নাম আবারও বাদ দিয়ে চার্জশিট দেয়ার অভিযোগ তুলে সেটিও প্রত্যাখ্যান করে ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি আবারও সিআইডির প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি করে মামলার বাদী থমাস হেমব্রম। সেই নারাজি পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি একই বছরের ৭ ডিসেম্বর শুনানি ও আলোচনা হয় আদালতে। এর পর তিন দফায় শুনানি পিছিয়ে ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এবং পরে একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর নারাজি শুনানির দিন ধার্য করে আদালত।

পরে ২০২৪ সালের ১২ মার্চ নারাজি শুনানি হয় এবং সর্বশেষ একই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর আবারও শুনানি শেষে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মাধ্যমে অধিকতর তদন্ত করে পুলিশ সুপারকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় আদালত।

অন্যদিকে, হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং হত্যার পর পুলিশ উল্টো তাদের ওপর হামলার অভিযোগে সাঁওতাল-বাঙালিদের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছে পিবিআই। প্রতিবেদনে সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলীসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই মামলার তিন জন অভিযুক্ত ইতোমধ্যে মারা গেছেন।

এদিকে, এমন ঘটনার মধ্য দিয়েই বিরোধপূর্ণ ওই সব জমিতে অর্থনৈতিক প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সাঁওতালরা বিরোধিতা করলেও ইপিজেড স্থাপনের পক্ষে রয়েছে প্রশাসনসহ একটি অংশ। এই লক্ষে সরকারের পক্ষে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট ইপিজেড বাস্তবায়নে রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম। প্রশাসন বলছে, এই জমিতে ইপিজেড নির্মাণ সরকারের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। ইপিজেড হলে এ অঞ্চলের শিক্ষিত ও বেকার যুবকরা চাকরির সুযোগ পাবেন। শুধু গাইবান্ধাই নয়; বৃহত্তর রংপুর বিভাগের কয়েকটি জেলা নানামুখী সুবিধা ভোগ করবে। বৃহত্তর রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মাঝামাঝি এই গোবিন্দগঞ্জের ইপিজেড এ অঞ্চলের আমূল পরিবর্তন ঘটাবে। সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ আন্তর্জাতিকমানের কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে এই ইপিজেড।

তবে, সর্বশেষ চলতি বছরই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাতীয় সংসদে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ও সুন্দরগঞ্জসহ তিনটি এলাকায় ইপিজেড করার বিষয়ে আলোচনা হয়। যদিও কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ই এখনো চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে, সাঁওতালদের জমি ফেরতের এই আন্দোলন-সংগ্রামের সাথে একাত্মতা জানিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ রবিদাস ফোরাম এবং গাইবান্ধা নাগরিক মঞ্চ, সাকোঁয়া ব্রিজ ইপিজেড বাস্তবায়ন মঞ্চ, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, আদিবাসী ইউনিয়ন ও জনউদ্যোগেরর মতো রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন। এসব সংগঠনের নেতারা সাঁওতাল পল্লিতে ইপিজেড স্থাপন বাতিলসহ পলাশবাড়ী উপজেলার সাঁকোয়া ব্রিজ এলাকায় স্থাপনের দাবি জানাচ্ছেন।

সাঁওতাল হত্যা মামলার বাদী থমাস হেমব্রম বলেন, আমাদের মামলার প্রথমবারেই মূল আসামিদের বাদ দিয়ে পিবিআই চার্জশিট দেয়। পরে নারাজি দিলে সিআইডিকে তদন্তভার দেয় আদালত। কিন্তু সিআইডিও ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামিদের নাম বাদ দিয়ে পিবিআইয়ের পথেই হেঁটে চার্জশিট জমা দেন। পরে আমি সেই প্রতিবেদনও প্রত্যাখ্যান করে নারাজি করি।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সারা পৃথিবীর গণমাধ্যমে প্রকাশিত আগুন লাগানোর ফুটেজ, ছবি প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদেরকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি। ৯ বছরেও মামলাটির দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। আবার পুলিশকে তদন্তভার দিয়েছে আদালত, সুষ্ঠু বিচার না পেলে আরও জোরালো আন্দোলন করা হবে।

সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকে বার্তা২৪.কমকে বলেন, যে দেশ সাঁওতাল-বাঙালিরা যুদ্ধ করে জীবন আর রক্ত দিয়ে স্বাধীন করলো। স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পর তারাই আজ নিজ ভূমি হতে উচ্ছেদ হয়েছে। এই বিচারহীনতা প্রমাণ করে জাতিগত সংখ্যালঘু সাঁওতালদের কতটা অবহেলার চোখে দেখা হয়। নিজ ভূমি উদ্ধার করতে গিয়ে জীবন দিয়েছে সাঁওতাল শ্যামল, মঙ্গল ও সাঁওতাল রমেশ। এসময় কোন স্বাধীনতার জন্য সাঁওতালরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন বলেও প্রশ্নও রাখেন তিনি।

মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাদী পক্ষের আইনজীবী এবং জেলা নাগরিক পরিষদ ও আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বাবু মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি বছরে ১২ সেপ্টেম্বর নারাজি শুনানির দিন গাইবান্ধার পুলিশ সুপারকে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মাধ্যমে অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এসময় বিষয়টি নিষ্পত্তিতে সরকারের নীরবতা ও দীর্ঘসূত্রিতাই দায়ী বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মামলার তদন্তের বিষয়ে জানতে চেয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, কোর্টের সাইন আদেশ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করা হবে। স্বাধীনভাবেই তদন্ত করে প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করবে পুলিশ।

Related News