গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দোকানে সিগারেট না পাওয়ায় ছুরিকাঘাতে বিএনপি-জামায়াতের ৬ নেতাকর্মীকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতা মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার চৌমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ পৌর জাসাসের আহ্বায়ক রাশেদ নিজাম রুমেল (৪০), পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য জালাল মিয়া (৪৫) এবং পৌর যুব জামায়াতের বায়তুল মালের দায়িত্বে থাকা ফুল মিয়া (৩৫) রয়েছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চৌমাথা মোড়ে জামায়াতকর্মী ফুল মিয়ার দোকানে ব্ল্যাক ডায়মন্ড সিগারেট চেয়ে না পাওয়ায় মারুফ হাসানের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে মারুফ ফোন করে বন্ধুসহ দলবল নিয়ে ধারালো ছুরি হাতে ফুল মিয়াকে আক্রমণ করতে যান। এ সময় পাশে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা এগিয়ে আসলে তাদের ওপরও আক্রমণ চালানো হয়। মারুফের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে অন্তত ৬ জন আহত হন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, দোকানে সিগারেট চেয়ে না পাওয়ায় মারুফ হাসান নামে এক যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এতে দোকান মালিকসহ বিএনপি ও জামায়াতের পাঁচজন আহত হন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অভিযুক্ত মারুফ হাসানকে আটক করা হয়েছে। অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় আহত নেতাকর্মীদের হাসপাতালে দেখতে যান বিএনপির রংপুর বিভাগীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আশরাফুল আলম রাজু, সাবেক জামাতের আমির নূরনবী প্রধান, গোবিন্দগঞ্জ পৌর বিএনপি আহ্বায়ক রবিউল কবির মনু, সদস্যসচিব আবু জাফর লেলিনসহ দলীয় নেতারা।
ঘটনার প্রতিবাদে আহতদের সমর্থনে জামায়াত ও জাসাস নেতাকর্মীরা রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।