অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্টমুক্ত বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি, দেশ পুনর্গঠনের স্বপ্ন দেখছি, তাদের যেন আমরা ভুলে না যাই।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম পাশে জুলাই বিপ্লবে শহিদ ফারহান ফাইয়াজের নামে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য খেলার মাঠ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যেন শদিদের কথা ভুলে না যায়, সেটা নিশ্চিত করতেই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা হিসেবে এই খেলার মাঠের নামকরণ। তবে রক্তত্যাগের মূল্য পরিশোধ করা কখনোই সম্ভব হবে না কিন্তু আমাদের সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্মান, শ্রদ্ধার সুযোগ আছে সেগুলো আমরা চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, ২০২৫ সালের পাঠ্যপুস্তকে সময় স্বল্পতার কারণে জুলাই অভ্যুত্থানের বিষয়টি অন্তর্ভুক্তি হয়তো অতটা দৃশ্যমান করা সম্ভব হবে না। তবে সেখানে একটা চ্যাপ্টার জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে থাকবে। যেখানে শহীদদের স্মৃতিকথা লেখা থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিকল্পনা আছে পরবর্তী বছরে নতুন পাঠ্যপুস্তকে অভ্যুত্থানের স্মৃতিগুলোকে ভালোভাবে তুলে ধরার। যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারে।
২২০টির অধিক উপজেলায় স্টেডিয়াম তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, প্রত্যেকটি স্টেডিয়ামের নাম সেই উপজেলায় যারা শহীদ তাদের নামে নামকরণ করা হবে।
তিনি বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু কিশোরদের জন্যই এই ডেডিকেটেড খেলার মাঠ। এমনিতেই ঢাকা ঘনবসতিপূর্ণ শহর সেখানে স্বাভাবিকভাবে খেলার জন্য পর্যাপ্ত ফ্যাসিলিটি নেই। তার মধ্যেও আমরা চেষ্টা করেছি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য ডেডিকেটেড খেলার মাঠ যেন থাকে।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ বলেন, বিশ্বে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের জন্য অনেক টুর্নামেন্ট হয়। সেখানে বাংলাদেশি শিশুরাও অংশগ্রহণ করে দেশের জন্য সম্মান নিয়ে আসতে পারে, সেজন্য ফেডারেশনগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছি।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব ড. মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ, শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া ও মা ফারহানা দিবা প্রমুখ।