১৫ বছর ধরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গুম-খুন, ৫৭ জন সেনা অফিসার হত্যা, শাপলা চত্বরে আলেম হত্যা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিচারের দাবিতে রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে গৌরীপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির ব্যানারে পৌর শহরে কালীপুর মধ্যমতরফ এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মাওহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌস ও সহকারি শিক্ষক রোজী সুলতানাকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হাবিবুল ইসলাম খান শহীদ বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে আমাদের দলের অনেক নেতা-কর্মী গুম ও খুন হয়েছেন। বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা অফিসার হত্যা, শাপলা চত্বরে আলেম হত্যা সহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতেই আজকে আমাদের এই কর্মসূচি। আমাদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে যেন আইনের আওতায় আনা হয়’।
ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের মৎস্য ও পশু বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় শফিকুল ইসলাম শফিক, একেএম মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌস ও রোজী সুলতানার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। মামলার আসামি তিন শিক্ষকের কারণে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। তিন শিক্ষকের বরখাস্তের বিষয়ে ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগে অনুলিপি পাঠানো হয়েছে’।
অভিযুক্ত শিক্ষক একেএম মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌস বলেন, আমরা শিক্ষক মানুষ। রাজনীতির সাথে জড়িত নই। মামলায় উল্লেখিত ঘটনার দিন আমরা ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলাম। আমাকে অন্যায়ভাবে মামলার আসামি করা হয়েছে। আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাকিল আহমেদ বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি। বিধি অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এটি সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হবে।