বকেয়া বেতন ও কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের সারাবো, পানিশাইল এলাকায় তিনটি কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। আন্দোলনের জেরে বন্ধ রয়েছে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক। টানা চারদিন ধরে অচল এ সড়কে দেখা দিয়েছে চরম জনদুর্ভোগ।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল থেকে গাজীপুর মহানগরীর সারাবো, পানিশাইল ও চক্রবর্তী এলাকার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ডরিন ফ্যাশন ও আইরিশ ফ্যাশন কারখানা শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নিয়েছে। এসময় শ্রমিকরা ব্যাস্ততম চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের দু'পাশে অবস্থান নিয়ে সড়ক বন্ধ করে রেখেছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে টানা ৪ দিন ধরে বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা। শ্রমিকরা বলছেন গত এক মাসের বকেয়া বেতন না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত থাকবে।
অপরদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা দুটি কারখানা খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে পার্শ্ববর্তী আইরিশ ও ডরিন ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকরাও সকাল থেকে আন্দোলন শুরু করেছে।
আইরিশ ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিক মামুন খান, তোফায়েল হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ কারখানা বন্ধ করে দেয়। তারপর দুইদিন আগে খুলার পর হঠাৎ ওইদিন বিকেলেই আবার বন্ধ ঘোষণা করে। মালিকপক্ষ এসব কেন করতেছে তা বুঝতে পারছি না।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিনের মতোই তারা আজও সড়ক অবরোধ করেছেন। তারা সারাদিন অবরোধ করে রেখে সেচ্ছায় রাতে সড়ক ছেড়ে দেন। বেতন না পেলে সড়ক থেকে যাবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে শ্রমিকরা। কারখানা কর্তৃপক্ষও বেতন দিবেন এমন কোন আশ্বাস এখন পর্যন্ত দেননি।
এর আগে, গতকাল (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বেক্সিমকোর পাশাপাশি গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের পানিশাইল এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা একটি কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সাথে এলাকাবাসীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে জিরানী বাজারের পাশে অ্যামাজন নিট ওয়্যার নামের একটি কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ওই এলাকা।