চুয়াডাঙ্গায় চা পানরত অবস্থায় আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) নামের এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বেলগাছি ঈদগাহপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর জখম অবস্থায় আব্দুর রাজ্জাককে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আব্দুর রাজ্জাক বেলগাছি ঈদগাহপাড়ার সাজ্জাদ আলীর ছেলে। তিনি আম ও আমবাগান ব্যবসায়ী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে আব্দুর রাজ্জাক বাড়ি থেকে বের হয়ে একই এলাকার আনামুলের দোকানের বসে চা পান করছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ কয়েকজন যুবক ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও লোঠিসোঠাসহ চায়ের দোকানে এসেই রাজ্জাককে পেছন দিক থেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। এসময় রাজ্জাক দোকানের ভেতরে পালানোর চেষ্টা করলেও তাকে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখেন।
জখম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘যারা আমার ওপর এই হামলা চালিয়েছে, তাদের সবাইকে না চিনতে পারলেও যার নেতৃত্বে আমাকে হত্যাচেষ্টা করা হলো, তাকে আমি চিনতে পেরেছি। পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার ওপর এই সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, ‘রাত ১০টার পর আব্দুর রাজ্জাক জখম অবস্থায় জরুরি বিভাগে আসেন। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের দুটি চিহ্ন পাওয়া গেছে। জখম দুটিই গুরুতর হওয়ায় তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়াও তার দুই হাত, দুই পা, পায়ের পাতাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। তার অবস্থা সম্পূর্ণ শঙ্কামুক্ত নয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হতে পারে।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘বেলগাছিতে একটি গণ্ডগোলের বিষয়ে জানার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আমাদের একটি টিম পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় একজন জখম হয়েছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’