চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা আরও কমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এতে প্রচণ্ড ঠান্ডায় প্রাণ-প্রকৃতিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, চলমান এ শৈত্যপ্রবাহ আরও ২-১ দিন বয়ে যেতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, চলতি ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই চুয়াডাঙ্গা জেলায় জেঁকে বসেছে শীত। এসময় তাপমাত্রার পারদ ১৪ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে। হঠাৎ গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক দিনে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পরদিন শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর মধ্যদিয়ে এ জেলায় শুরু হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আর একটু কমে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাতাসের আর্দ্রতা ৮৫ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা আরও কমে শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এরপর ১৬ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, ঠান্ডা হিমেল বাতাস আর কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন অসহায় ছিন্নমূল শ্রেণির মানুষ। অন্য বছর সরকারিভাবে তাদের মাঝে কম্বল বা গরম কাপড় বিতরণ করা হলেও এ বছর তা এখনো শুরু হয়নি। ফলে শীতে এক প্রকার কাহিল হয়ে পড়েছেন তারা। এছাড়া তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।