দাবি আদায়ে টানা ৪ ঘণ্টা অবস্থানের পর জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমের আশ্বাসে শাহবাগ সড়ক ছেড়েছেন পোস্টগ্রাজুয়েট বেসরকারি ট্রেইনি চিকিৎসকরা। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে তারা সড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
সারজিস আলম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে দাবি মেনে লিখিত ঘোষণা আসতে হবে। ট্রেইনি চিকিৎসকদের নবম গ্রেড সমমানের সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। আগামি মাস থেকে কার্যকর করতে হবে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে পোস্টগ্রাজুয়েট বেসরকারি ট্রেইনি চিকিৎসকদের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক কমিটি আন্দোলনে যোগ দিবে।
এর আগে সকালে রাজধানীর শাহবাগ বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ভেতরে দেশের সব প্রাইভেট পোস্টগ্রাজুয়েট বেসরকারি ট্রেইনি চিকিৎসকরা মাসিক ভাতা ২৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকা করার দাবিতে কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়ে সড়কে অবস্থান নেন। পরে বেলা ১টার পর তারা শাহবাগ মোড়ের সড়ক অবরোধ করে রাস্তায় অবস্থান নেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ডাক্তারদের অধিকার আদায়ের প্রতিষ্ঠান ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটি এবং তার সহযোগী সংগঠন পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যসোসিয়েশন গত ২০২২ সাল থেকেই বেসরকারি পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিতসকদের যৌক্তিক দাবি ভাতা বৃদ্ধির জন্য রাজপথে আন্দোলন করে আসছে।
নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা রেখে স্বাস্থ্যখাতের সকল স্টেকহোল্ডার যথাক্রমে বিসিপিএস, বিএসএমএমইউ, স্বাস্থ্য শিক্ষা মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য সচিব এবং সহকারী স্বাস্থ্য উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. সায়েদুর রহমান সহ সকলের সাথে দেখা করি। সবাই ভাতা বৃদ্ধির দাবিকে যৌক্তিক বলেন এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন বলে কথা দেন। ভাতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় নথি যথার্থ ধাপ পার করে অর্থ মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়। কিন্তু ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ে নথিভুক্ত হয়ে পড়ে আছে। আমাদের প্রত্যাশা ক্রমে হতাশায় রূপান্তরিত হয় যখন নজরে আসে ভাতা বৃদ্ধির সেই গুরুত্বপূর্ণ নথিটি অর্থ ছাড়ের জন্য অনুমোদিত হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেনি। যার প্রতিবাদে গত ১৪ই ডিসেম্বর আমরা ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটি এর নেতৃত্বে শহীদ মিনার থেকে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত মশাল মিছিল করি এবং ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়।