বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেসব নেতা কর্মীরা আত্মগোপনে গেলেও উল্টো এক চিত্র দেখা গেল মোহাম্মদপুর থানায়। একাধিক হত্যা মামলার আসামি হয়েও মোহাম্মদপুর থানার ভেতরে বসে সালিশ করছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা।
জানা গেছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোড ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলার আসামী মোহাম্মদপুর থানায় এসে পুলিশের সাথে বসে সালিশ করছেন। এ সময় পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আওয়ামী লীগ নেতার পক্ষ হয়ে সালিশের অন্য পক্ষকে শাসাতে দেখা যায়।
সোমবার (৬ জানুয়ারী) রাত ১০টায় ডিএমপি মোহাম্মদপুর থানায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একাধিক ভিডিও ফুটেজ বার্তা২৪.কমের হাতে এসেছে।
থানায় বসে সালিশ করা ওই আওয়ামী লীগ নেতা হলেন- মোহাম্মদপুর বাবর রোড ইউনিট আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোসেন।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোহাম্মদপুরের বাবর রোড আওয়ামীলীগের ইউনিট সভাপতি আবুল হোসেন এর ঢাকা উদ্যান বাসায় ভাড়া থাকেন হুমায়ন আহমেদ নামে এক ব্যক্তি। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থা থাকায় গত দুই মাস বাসা ভাড়া দিতে পারেননি। এ বাসা ভাড়া আদায় করার জন্য আবুল হোসেন থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিবাদীদের পরিবারকে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের এএসআই আলমগীর হোসেন ডেকে তাদের নানা রকম হুমকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিবাদীদের আজকের মধ্যে টাকা দিতে না পারলে থানায় হাজতে আটলে রাখবেন বলেও হুমকি দেন। এ সময় মোহাম্মদপুর থানায় উপ-পরিদর্শকদের (এসআই) বসার বড় রুমে পুলিশের সাথে হত্যা মামলার আসামী আওয়ামী লীগ নেতাকে বসে থাকতে দেখা যায়। দীর্ঘ দুই ঘন্টার দেন দরবার শেষে পুলিশ বিবাদী থেকে দ্রুত দুই কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার শর্তে একটি লিখিত মুচলেকা রাখে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী ইফতেখারকে কয়েক দফায় ফোন করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, ওই আওয়ামী লীগ নেতা এসে জামায়াতের নেতা পরিচয় দিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলো। পরে বিষয়টি আমাদের এক অফিসার বিষয়টি দেখছিলো। আজকে শুনলাম তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।