চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রতিটি মাঠ এখন সরিষা ফুলের হলুদ রঙে বর্ণিল হয়ে আছে। অন্যদিকে মৌমাছিরা এক ফুল থেকে আরেক ফুলে ছুটছে মধু সংগ্রহে। আবার কখনো কখনো শীতল হাওয়ায় দোল খেয়ে উঠছে হলুদ মাঠ। এরকম হলুদ সবুজের বর্ণিল দৃশ্যই তো গ্রাম-বাংলার চিরচেনা রূপ। এমন মনোমুগ্ধকর হলুদ মাঠে ভোরের শিশির বিন্দু জমে আরও সুন্দর আবহ তৈরি করে। আর এই দৃশ্য একজন কৃষককে মুহূর্তেই আশাবাদী করে তোলে।
গত কয়েকবছর ধরেই বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ায় সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। ধারাবাহিক ভাবে প্রতিবছরই সরিষার বাম্পার ফলন কৃষকদের আশাবাদী করে তুলছে। এখন শুধু ভালো ফলনের আশায় তারা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩০ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষকরা জানান, রবি মৌসুমে কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দেয়নি। তাছাড়া ও সরিষা চাষের অনুকূল পরিবেশ ছিল। সেজন্য আমরা বাম্পার ফলনের আশা করছি। আর ফলন ভালো হলে আগামী মৌসুমে সরিষা চাষের জমি বাড়িয়ে দেব।
এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, সরিষাসহ শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হন এবং কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন সেজন্য সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। যেখানেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে সেখানে গিয়ে সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ডাঃ পলাশ সরকার জানান, প্রণোদনার আওতাভুক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার প্রত্যেক প্রান্তিক সরিষা চাষীকে সরকারি প্রণোদনা হিসেবে এক বিঘা জমির বিপরীতে বিনামূল্যে ২০ কেজি বীজ, ১০ কেজি সার ও ১০ কেজি করে ডিএপি দেওয়া হয়েছে।