আগুনে পুড়িয়ে গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2025-01-12 18:58:22

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় গৃহবধুকে আগুনে পুড়িয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা রুজু করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামি রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৩।

রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১৩'র সিনিয়র সহকারী পরিচালক ফ্লাইট লে.সাইফুল্লাহ নাঈম।

এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র‌্যাব-১৩, সিপিএসসি ক্যাম্পের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে গতকাল ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আরপিএমপি রংপুর তাজহাট থানাধীন খামার মোড়স্থ’ নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী (নেসকো) পিএলসি, রংপুর অঞ্চল বিতরণ কেন্দ্রের সামন থেকে অভিযান পরিচালনা করে রংপুর জেলার গংগাচড়া থানার মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি হলেন, রংপুর জেলা গঙ্গাচড়া থানাধীন দক্ষিণ চেংমারী নাককাটির চওড়া এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে রুবেল মিয়া (৩৪)।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা ও র‌্যাব-১৩’র ব্রিফিং তথ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামি রুবেল মিয়া (৩৪) ও তার পরিবারের লোকজন মিলে তার স্ত্রী মোছাঃ মারুফা আক্তার নিশিকে (২৮) বিভিন্ন দাবি আদায়ের উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিশি’র ঘুমানোর সুযোগে ধৃত আসামির ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের পেট্রোল বাহির করে ভিকটিমের শরীরে ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আসলে আসামিরা বাঁচার তাগিদে ভিকটিমের শরীরে জ্বলতে থাকা আগুন নিভানোর চেষ্টা করে এবং তাৎক্ষণিক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন ভিকটিমের পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে তিন দিন থাকার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২৯ ডিসেম্বর স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে। সেখানে ৪-৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ৩ জানুয়ারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে তাকে বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়।

পরে গত ৬ জানুয়ারি রুবেলের বাড়িতে মারুফা আক্তার নিশি মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় ৮ জানুয়ারি রাতে মারুফার মাতা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি নিয়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে র‌্যাব-১৩, সিপিএসসি এর নজরে আসলে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামির অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসামিকে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

Related News