বেনাপোলে ভারত থেকে আমদানি কমেছে ৭৫ হাজার মেট্রিক টন
বেনাপোল বন্দরে গত বছরে তার আগের বছরের চেয়ে আমদানি পণ্যের পরিমাণ কমেছে ৭৫ হাজার ৭২৯ মেট্রিক টন। বৈশ্বিক মন্দা আর বাণিজ্যে নানান প্রতিবন্ধকতা এ অবস্থার জন্য দায়ী বলছেন ব্যবসায়ীরা। এই বন্দর দিয়ে গেল বছরে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮০ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য। এর আগে ২০২৩ সালে আমদানির পরিমাণ ছিল ২১ লাখ ১৪ হাজার ৫০৯ মেট্রিক টন। সেই হিসেবে আমদানি কমেছে ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
জানা যায়, দেশের মোট ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য হয় ১৬ টি বন্দরের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় বেনাপোল - পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে। তবে দেশ করোনা ভাইরাসের কবলে পড়ে ২০১৯ সাল থেকে বৈশ্বিক মন্দায় ডলারের দাম উর্ধ্বগতিতে, কমে আসছে আমদানির পরিমাণ। এছাড়া দ্রুত পণ্য ছাড়করন ও অবকাঠামোগত নানান সমস্যাও বাণিজ্য ঘাটতির কারণ হয়ে উঠেছে। তবে অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বাণিজ্য সম্প্রসারণে নানান উদ্যোগ নেয়। গত দুই মাসে বেনাপোল বন্দরের শূন্যরেখায় চালু করা হয় বন্দর কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল ও বন্দরে বসানো হয় স্ক্যানিং মেশিন। দ্রুত পণ্য খালাস ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের উদ্যোগে কমিটি গঠন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এতে বর্তমানে বাণিজ্যে অনেকটা গতি ফিরে হয়রানি কমেছে। যা সামনের দিনে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমদানি,রফতানি বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে। এপথে আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক,গার্মেন্টস,শিশু খাদ্য,মাছ কেমিকেলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। আর রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট,পাটের তৈরী পণ্য,গার্মেন্টস,তৈরি পোশাক,কেমিকেল, বসুন্ধরা টিস্যু ,মেলামাইন, মাছ উল্লেখ্য যোগ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ জানান, বছরে ভারত থেকে আমদানি হয় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের পণ্য এবং ৮ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতানি হয় ভারতে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেশির ভাগ আমদানিকারকেরা বেনাপোল বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী। তবে দ্রুত পণ্য খালাস নানান প্রতিবন্ধকতায় হয়রানি হতে হয়। বাণিজ্য সহজিকর ব্যবস্থা নিশ্চিত হলে আমদানি ও রাজস্ব বাড়বে।
বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক কাজী রতন জানান, ইতিমধ্যে বেনাপোল বন্দরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সমাপ্ত হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের সদস্য কাজী মোস্তাফিজুর রহমান জানান,বাণিজ্য সম্প্রসারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের উদ্যোগে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আমরা আশাবাদী সামনের দিনে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও সহজিকরনে এ উদ্যোগ বড় ভূমিকা রাখবে।