ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে ডান, বাম ও ইসলামপন্থী দল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শতাধিক পণ্যের ওপর আরোপিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। দলগুলোর মধ্যে জামায়াত, গণফোরাম, চরমোনাই পীর, গণতান্ত্রিক পার্টি সহ ডান, বাম ও ইসলামপন্থী দলগুলোও রয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই প্রথম কোনও সিদ্ধান্তের বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতের রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে অভিন্ন সমালোচনার সম্মুখীন হলো।

দলগুলো বলছে, কর বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের বিবেচনায় নেয়া উচিত ছিল যে, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। কিন্তু সরকার বিষয়টির ওপর নজর রাখেনি বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তারা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর বর্ধিত বাড়তি চাপ তৈরি না হয় সেজন্য অবিলম্বে শতাধিক পণ্যের ওপর আরোপিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।  

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অব্যাহতভাবে বেড়েই চলার বিষয়টিও দলগুলোকে চিন্তিত করেছে। তাদের মতে, জনগণের জন্য অপরিহার্য পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে সরকার কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারেনি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মানুষের সংসার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তদুপরি শতাধিক পণ্যের ওপর আরোপিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ফলে জনগণের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আরোপিত শুল্কের কারণে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনের খরচ আরও একদফা বৃদ্ধি পাবে বলেও দলগুলোর পক্ষে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।  

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বিবৃতি দানকারী দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, সাধারণ মানুষ এমনিতেই চাপের মধ্যে আছে, কর বৃদ্ধির ফলে পরিস্থিতি আরো তীব্র হবে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বাজারে পণ্যের মূল্য বাড়বে এবং গরিব ও মধ্যম আয়ের মানুষের জীবন-যাপন আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির জন্য সরকার শুল্ককর বৃদ্ধির সহজ পথ বেছে নিয়েছে বলে দাবি করে নেতারা বলেন, এতে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময়ে নিম্ন আয় ও প্রান্তিক আয়ের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে খরচ আরও বেড়ে যাবে। পরোক্ষ কর ধনী-গরিব সবার জন্য সমান। পরোক্ষ কর বৃদ্ধি হলে ধনীদের সমস্যা হয় না, সমস্যা গরিবের। এতে নাগরিকদের মধ্যে অসমতা আরো বাড়বে। 

বর্তমান সরকার জনগণের প্রতিনিধি রাজনৈতিক দল ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করে মানুষের উপর বর্ধিত ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে জনরোষ বৃদ্ধি পাবে বিধায় এ পরিস্থিতিতে জনগণের উপর যাতে অর্থনৈতিকভাবে কোনও রকম চাপ সৃষ্টি না হয় সেবিষয় ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান বিবৃতিদাতা দলগুলোর নেতৃবৃন্দ।