বরিশালে পৃথক দুই সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল | 2025-01-18 10:14:13

বরিশালে গত ২৪ ঘণ্টায় পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন সেনা সদস্যের স্ত্রী ও এক কলেজ ছাত্র। এসব দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও চারজন।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ৯পৌনে টায় বাকেরগঞ্জের দুধলমৌ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সাইনবোর্ড এলাকায় পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী সাকুরা পরিবহনের একটি বাস সেনা সদস্য মো. বুলবুলের মোটরসাইকেলে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই তার স্ত্রী হোসনে আরা (৩৫) প্রাণ হারান। সেনা সদস্য বুলবুল মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন এবং তার আড়াই বছরের ছেলে আদিয়ানও আহত হয়।

স্থানীয়রা আহত দুজনকে উদ্ধার করে ক্যান্টনমেন্ট সিএমএইচ হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের হেলিকপ্টারে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিহত হোসনে আরা ঢাকা জেলার ধামরাই থানার বাসিন্দা এবং বুলবুলের স্ত্রী। তিনি ৪৪ বীর ইউনিটের ল্যান্স কর্পোরাল পদে কর্মরত ছিলেন।

বরিশাল বাকেরগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় জড়িত বাসটি সেনাবাহিনী জব্দ করেছে। তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

একই দিন রাত পৌনে ১১টার দিকে বরিশাল-পটুয়াখালীর বাকেরগঞ্জের চরামদ্দি ইউনিয়নের মাঝের ব্রিজ এলাকায় মোটরসাইকেল ও বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারান মো. ফয়সাল (১৮)। আহত হয় তার দুই বন্ধু মুশফিক ও রাকিব।

নিহত ফয়সাল উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের রবিপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদারের ছেলে এবং জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনায় আহত তার দুই সহপাঠীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে দ্রুতগামী একটি ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ফয়সালের মৃত্যু ঘটে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

বরিশাল বাকেরগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, দুটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক সেনা সদস্যের স্ত্রী এবং এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সড়ক দুর্ঘটনার এই মর্মান্তিক ঘটনার ফলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে নিহতদের পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে।

Related News