মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্য নিয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা পণ্যবাহী ৪ কার্গো জাহাজ এখনো ছাড়েনি সেদেশের বিদ্রোহী শসস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। জাহাজগুলোতে ৫০ হাজার বস্তা শুঁটকি, সুপারি, কফিসহ বিভিন্ন পণ্যের আনুমানিক ৪০ কোটি টাকার মালামাল রয়েছে বলে জানা গেছে। যে পণ্যগুলো এখন নষ্ট হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গেলো বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফনদীর মোহনায় সেদেশের জলসীমানায় নাক্ষ্যংকদিয়া নামক এলাকায় তল্লাশির নামে বোট চারটি আটকে রাখে আরাকান আর্মি।
বিষয়টি নিয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দীন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বোটগুলো মিয়ানমারের। সেদেশের জলসীমা থেকে সেদেশের আরাকান আর্মি আটকে দিয়েছে। তবে পণ্যগুলো আমাদের ব্যবসায়ীদের। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ব্যবস্থা নিবে।
টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, “মিয়ানমার থেকে ৪টি পণ্যবাহী জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরে আসছিল। পথে নাফ নদীর মাঝপথে জাহাজগুলো তল্লাশির কথা বলে আটকে দেয় আরাকান আর্মি। তিনদিন পার হওয়ার পরও জাহাজগুলো ছেড়ে দেয়নি তারা। মিয়ানমারের ব্যবসায়ী ও আরকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘মূলত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টউিনশিপ আরাকান আর্মির দখলের নেওয়ার পর থেকে স্থলবন্দরের পণ্যবাহী ট্রলার আসা বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারী মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফনদীর মোহনায় পণ্যবাহী কার্গো বোটগুলোও তল্লাশির নামে আটকে রেখেছে আরাকান আর্মি।’
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের থেকে পণ্যবাহী চারটি বড় কার্গো টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার কথা ছুলো। কিন্তু নাফনদীর মাঝপথে তল্লাশি কথা বলে আরাকান আর্মি আটকে দেয়ার কারণে এখনো বন্দরে পৌঁছেনি।