বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের কথা বলে গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরেছে। মানবাধিকারের কথা বলে মানবাধিকারের চরমতম লঙ্ঘন করেছে গত সাড়ে পনেরো বছরে। মানুষ গুম হয়েছে, আয়না ঘরে থেকেছে, পাখির মত বিনা বিচারে মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষকে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) চন্দ্রিমা উদ্যানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের ২৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান এর মাজার জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ বলেন, আজকে মনে রাখতে হবে স্বাধীনতার ৫৪ বছর বাংলাদেশে আইনের শাসন বলেন, আর সত্যিকারের অর্থে মানবাধিকার বলেন প্রতিটি জিনিসই যে কারণে মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালে অস্ত্র হাতে রনাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলেন সেই কারণে মুক্তিযোদ্ধারা অনেকে দেখে যেতে পারেন নি। এবং বিগত সাড়ে ১৫ বছরে পতিত এবং পলায়নকৃত স্বৈরাচার মুক্তিযুদ্ধের সকল চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করেছে।
১৫ বছরে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছে এই চোরের দল। যারা গণতন্ত্র, উন্নয়নের বুলি আউড়েছে, বাংলাদেশ কে উন্নয়নের রোল মডেল বানাবে বলে গল্প শুনিয়েছে তারা এখন কোন অবস্থায়? বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছিলেন উনি আর টাকা ছাপাবে না। দেশের অর্থনীতি ফোকলা করে দিয়েছে মহা চোরের দল। কাজেই মনে রাখতে হবে তারা দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে সেটিই শুধু না দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান, আইন শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে আইন আদালত সব ধ্বংস করে দিয়েছে।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, তারা মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তারেক রহমানকে সাজা দিয়েছিল। আজকে সেই মামলার রায় বেড়িয়েছে। হাইকোর্ট সে সমস্ত রায় খারিজ করে দিয়েছে। আইন যখন তার নিজস্ব গতিতে চলে তখন সত্যিকারের অর্থে মানুষ আইনের সেবা পায়, আদালতের আশ্রয় পায়। আর আইন যখন কোন একটি নির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে চলতে থাকে যেমনটি চালিয়েছে বিগত পলায়নকৃত স্বৈরাচার। তারা সত্যিকারের অর্থে কে দোষী সেটা ধরার চেষ্টা করে নি, তারা চিন্তা করেছে রাজনৈতিকভাবে কাকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে কাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যায়, কাকে শাস্তি দেওয়া যায়। একুশে আগস্ট এর মত আনফর্চুনেট ঘটনা আমরাও চাই না এক্ষেত্রে যারা দোষী তাদের বিচার হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা সাপলিমেন্টারি চার্ট সিট হায়ার এর মধ্য দিয়ে তারা চেয়েছে বিএনপিকে ধ্বংস করতে। কিন্তু আল্লাহ যাকে রক্ষা করতে চায় তাকে কি আর মানুষ ধ্বংস করতে পারে। সেটিই হয়েছে আজকে।
মাজার জিয়ারতের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বি এনপি নেতা আব্দুস সালাম, জাতীয়তাবাদী দলের যুগ্ম মহাসচিব নুরুন্নবী খান সোহেল, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবিন্দ।