৭ দল। ৪৬ ম্যাচ। ৩০ ডিসেম্বর শুরু। ফাইনাল ২০২৫ এর ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের বিপিএল সম্পর্কে এই চারটিই মুল্য তথ্য। নতুন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে এটিই প্রথম বিপিএল। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের শোকেজ বলা হয়ে থাকে বিপিএলকে। এই টুর্নামেন্টকে নতুন মেজাজ ও আয়োজনে সফল করার জন্য দারুণ উৎসাহী ফারুক আহমেদের বিসিবি।
মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিপিএলের ফিকচার ঘোষণা করেন ফারুক। সেই ভিডিও বার্তায় এবারের টুর্নামেন্টকে নিয়ে অনেক আশা শুনিয়েছেন তিনি। ৩০ ডিসেম্বর ফরচুন বরিশাল ও দুর্বার রাজশাহীর ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিপিএলের একাদশ আসর।
বিসিবি সভাপতি জানান, মাসব্যাপী এই টুর্নামেন্টের ফিকচারে সবগুলো দল যাতে সমান সুযোগ সুবিধা পায় সেদিকে আমরা নজর দিয়েছি। ডে ম্যাচ, নাইট ম্যাচ বা ম্যাচের মাঝে বিশ্রাম, ভেন্যু নির্বাচন-সবকিছুর বিষয়ে যাতে সাত দলের সবাই সমান সুযোগ পায় সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চেয়েছি।
প্রতিবছরের বিপিএলকে নিয়ে কিছু না কিছু সঙ্কট তৈরি হয়। সমালোচনায় পড়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় ঘরোয়া এই ক্রিকেট লিগ। সেই বিষয়টিকে নজরে রেখে বিসিবি এবারের বিপিএলকে আগের সব আয়োজন থেকে ব্যতিক্রমী করে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলছিলেন, আমাদের এবারের আয়োজনে বেশ কিছু নতুনত্ব থাকবে। বিশেষ করে প্রোডাকসনের ক্ষেত্রে আমরা চমকপ্রদ কিছু স্বাক্ষর রাখতে চাই। হক আই ডিআর এস সবই থাকবে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ থেকে। মাঠের ডিজিটাল পেরিমিটার রাখা হচ্ছে। টিভি প্রোডাকসন একেবারে বিশ্বমানের করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আমরা। একটা টুর্নামেন্টকে সফল করার জন্য কমেন্ট্রি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। সেদিকেও আমাদের চোখ রয়েছে। আম্পায়ারিং যাতে নিখুঁত হয় সেজন্য দেশ বিদেশের নামকরা সব আম্পায়াররা টুর্নামেন্টে দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এবারের বিপিএল হবে একটা ভালো টুর্নামেন্ট।’
বিপিএলের পূর্ববর্তী আয়োজনগুলো প্রসঙ্গে কিছুটা সমালোচনাই করলেন নতুন সভাপতি। বললেন, দশটা আসর হয়ে গেল কিন্তু এখনো একটা ভালো প্লাটফর্মে এই টুর্নামেন্ট দাড়াতে পারলো না। আমরা আশা করবো এবারের বিপিএল সেই সমালোচনা কাটিয়ে উঠবে। যদিও এবারের বিপিএল এই সাইকেলের শেষ টুর্নামেন্ট। পরের পর্ব থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলো যেন লম্বা সময়ের দায়িত্বটা পায় তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবো আমরা।’