বেরোবিতে শরতেই শীতের আগমনী বার্তা

  • বেরোবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

শরৎকাল এখনো শেষ হয়নি। এ সময় শেষ রাতে হিম হিম ভাব থাকলেও উত্তরবঙ্গের চিত্র একটু ভিন্ন। রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রীতিমতো কুয়াশার দেখা মিলছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। মধ্যরাত ও ভোরের দিকে ঠান্ডা লাগলেও বেলা বাড়‌লে তাপমাত্রা বৃ‌দ্ধি পায়।

বিজ্ঞাপন

আজ সকালে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন, স্বাধীনতা স্মারক, ক্যাফেটেরিয়া, প্রশাসনিক ভবন, মসজিদ ইত্যাদি রাতভর বৃষ্টির মতো টিপ টিপ করে ঝরতে থাকা কুয়াশায় ভিজে গেছে। গাছের পাতা আর ঘাসের ওপর থেকে ঝরছে শিশিরবিন্দু।

ক্যাম্পাসে দেখা মেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীর। তারা প্রায় ক্যাম্পাসে হাঁটতে আসেন। তাদের কয়েকজনের সাথে কথা বলেছেন বার্তা২৪.কমের বেরোবি প্রতিনিধি। 


ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের হেলাল মিয়া বলেন, মৃদু কুহেলিকা আর পাখির কিচিরমিচির শব্দ যেন জানান দেয় ঋতুর পরিবর্তন হচ্ছে।এটি বেশ দারুণ লাগে। মধ্যরাতে ও ভোরের দিকে ঘন কুয়াশার দেখা মিলছে। এই আবহাওয়ায় সকালে হাঁটাহাঁটি করতে বেশ ভালো লাগে।

জেন্ডার এন্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের আনিকা তাসকিন বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে শীতের আগমন সবসময়ই একটি বিশেষ আবহ নিয়ে আসে। উত্তরবঙ্গের এই অঞ্চল জুড়ে শীতের প্রভাব যথেষ্ট স্পষ্ট এবং গভীর। ক্যাম্পাসে হিমেল হাওয়া জানান দিতে শুরু করে শীতের আগমনকে। ছায়াময় সবুজ ক্যাম্পাস হিমের পরশে যেনো আরও মায়াময় হয়ে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদার মাঠগুলিতে সকালের কুয়াশা আচ্ছন্ন করে রাখে চারপাশকে। সকালবেলা কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের কিরণ যখন ক্যাম্পাসের সবুজ গাছপালায় পড়ে, তখন একটি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের অবতারণা হয়।

তিনি আরও বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতের আগমন কেবলমাত্র একটি ঋতুর পরিবর্তন নয়, এটি একটি অনুভূতি যা শিক্ষার্থীদের মনের ভেতর ঋতুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার আনন্দের সাথে মিশে থাকে।

একজন দর্শনার্থী বলেন, সকালে বের হয়ে অন্যরকম মনে হয়েছে। চারদিকে সাদা কুয়াশা দেখে মনে হয়েছে শীতের দিন চলে এসেছে। শিশির ভেজা সকালে হাঁটাহাঁটি করতেও ভালো লাগে।