জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য কোনো আবাসিক হল না থাকলেও প্রোভোস্ট নিয়োগ দিয়েছে প্রশাসন। এর ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার পাশাপাশি ক্ষোভে মেতেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে হল প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হল এক এর প্রভোস্ট হিসেবে এই আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাদীকে সিন্ডিকেট অনুযায়ী পরবর্তী দুই বছরের জন্য নিযুক্ত করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এই আদেশ ১১ ২০২৪ তারিখ হতে কার্যকর হবে এবং তিনি বিধি মোতাবেক ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ক্ষোভ ফেটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তুলছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, হল নেই অথচ প্রভোস্ট নিয়োগ দিয়ে বসেছি বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন প্রভোস্টকে যে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এজন্য তার ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা তো দেয়া হবে। এ প্রশাসন যে কি করে, কিছুই বুঝতে পারছি না। আমাদের জন্য যা করা দরকার তা না করে উল্টোপথে হাঁটছে তারা।
যদিও এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার অধ্যাপক মো. শেখ গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাবিনা শরমিন বলেন, আসলে আমাদের ছেলেদের কোনো হল নেই। তবে অস্থায়ী কিংবা স্থায়ী ভাবে হোক আমরা হল উদ্ধার, বাসা ভাড়া নিয়ে থাকার ব্যবস্থা, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে হল নির্মাণ এসব যাবতীয় কাজ তদারকি করার জন্য তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
হলবিহীন এভাবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নিয়োগ দেয়া হয়েছে আগে। আমরাও হলের আনুষ্ঠানিক কাগজপত্র থেকে শুরু করে অস্থায়ী আবাসন সহ সবকিছুর জন্য ওনাকে দায়িত্ব দিয়েছি নতুন করে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবার পর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আবাসিক কোনো হল নেই। ২০২২ সালে এক হাজার দুইশো ছাত্রীর আবাসস্থলের জন্য একমাত্র 'বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব' হল চালু করা হয়। এর বাহিরে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কোনো হল নেই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।