ইবিতে সিট বরাদ্দে আন্দোলকারীদের অগ্রাধিকার, সমালোচনায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক সিট বন্টনে বৈষম্য হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। সিট বরাদ্দে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে হল প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এ.বি.এম জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এক নোটিশের মাধ্যমে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসিকতার জন্য আবেদন করতে বলা হয়।
এতে বলা হয়, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জানানো যাচ্ছে যে, আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আবাসিকতার আবেদন আহবান করা যাচ্ছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যহীন দেশ গঠনের দিকে আগানোর পর এমন বৈষম্য মানতে পারছেন না কেউ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত প্রায় ১০ হাজার সদস্যের ফেসবুক গ্রুপ ইবিয়ান ফ্যামিলিতে ইইই বিভাগের কাওসার আহমেদ লিখেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছিলো। অথচ নতুন কোটা চালু করে বৈষম্য তৈরি করলেন।
এতে এইচ এম মহসিন মন্তব্য করে বলেন, খুবই লেইম সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। অপর এক শিক্ষার্থী জহুরুল ইসলাম লিখেন, আগে ছিলো মুক্তিযোদ্ধা কোটা এখন বৈষম্যবিরোধী কোটা।
সমালোচনায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার পাবে’ অংশটি কেটে দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, বিজ্ঞপ্তি বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। এটা তো আরেক বৈষম্য। ওনি অন্তত আমাকে জানাতে পারতো। আমাদের কখনোই এমন কোনো দাবি বা চাওয়া ছিল না, আগামীতেও থাকবে না। আন্দোলন করেছি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে চাই।
এ বিষয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমি এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আসলে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা থেকেই আগে একটা খসড়া কপি ছিল তা প্রিন্ট করে টাঙানো হয়েছে। কারও চাপে বা প্রভোস্ট কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে এমন করা হয়নি।