বেনাপোলে ৫ শতাংশ শুল্কে ডিম খালাস, প্রতিটি বিক্রি হবে ৯ টাকায়

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল(যশোর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যশোরের বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানিকৃত ডিমের শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশ হারে খালাস শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক সুবিধা পাবেন আমদানিকারকেরা।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিমের এ চালান আমদানিকারক হাইড্রোল্যান্ড সলিশন কাস্টমস থেকে খালাস নিয়েছেন। প্রতি পিস ডিমে আগে ১ টাকা ৯৬ পয়সা শুল্ককর দিতে হলেও এখন শুল্ক কমানোয় প্রতি পিসে ৭৬ পয়সা শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে আমদানিকৃত নতুন চালানের ডিম বাজারে ৯ টাকার মধ্যে বিক্রি হওয়ার কথা।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত শনিবার ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে ডিমের চালনটি করেছিল। তবে কমশুল্কে পণ্যচালানটি ছাড় নিতে ৩ দিন বন্দরে ডিমের ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখে আমদানিকারক। পণ্য চালানটি কাস্টমস থেকে ছাড় করাতে কাজ করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টার ন্যাশনাল।

এদিকে ডিমের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজার দর কমাতে গত বৃহস্পতিবার শুল্ক কমানো সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আর কাস্টমসে এ নির্দেশ আসে গতকাল রোববার।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সল্যুশনের স্বত্বাধিকারী প্রতিনিধি ইকরামুল হাসান সজিব বলেন, নতুন নির্ধারণ করা শুল্কে ডিম খালাস নিতে ডিমের চালান বন্দরে তিন দিন রাখা হয়েছিল। সোমবার তারা পণ্য চালান ৫ শতাংশ শুল্কে খালাস নিয়েছেন। এখন দাম পূর্বের চেয়ে কমবে বলে আশা করেন তিনি।

বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক কাজী রতন জানান, তিন দিন পর বন্দর থেকে আমদানিকারক ডিমের চালান খালাস নিয়েছেন। তাকে সব ধরনরর সহযোগিতা করা হয়েছে।

কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে পৌনে ১০ লাখ ডিম আমদানি হয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠানই এসব ডিম আমদানি করেছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সরকারের পক্ষ থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও এসব প্রতিষ্ঠান এখনো ডিম আমদানি করেনি।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন-বিপিএ তথ্য মতে, ডিম ও মুরগি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ।দেশে প্রতিদিন সকল প্রকার ডিমের চাহিদা চার কোটি পিস, আর উৎপাদন আছে পাঁচ কোটি পিস।