৪০ হাজার টন ডাল-চিনি কিনছে সরকার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের নিকট ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য ৪২৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা দিয়ে মসুর ডাল ও চিনি কিনবে সরকার। এর মধ্যে চিনি ২০ হাজার মেট্রিক টন ও ডাল কেনা হবে ২০ হাজার মেট্রিক টন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এসব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চিনির ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ১১৬ টাকা ৮৫ পয়সা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিনি কেনার আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড থেকে আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এই চিনি কিনতে ব্যয় হবে ১১৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চিনির ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ১১৫ টাকা ৮৫ পয়সা।

এছাড়া ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। রাজশাহীর নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে ৯৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা দিয়ে এই মসুর ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের মূল্য ধরা হয়েছে ৯৭ টাকা ৯৭ পয়সা।

এদিকে সভায় নির্ধারিত এজেন্ডার বাহিরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার একটি প্রস্তাব দেয়া হয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি সেই প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে। নাবিল নবা ফুডস থেকে এই মসুর ডাল কেনা হবে ৯৭ টাকা ২২ পয়সা কেজি দরে। এতে মোট ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ২২ লাখ টাকা।

এছাড়া বৈঠকে গম, সয়াবিন তেল ও সার আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরকার অত্যাবশকীয় পণ্যের প্রতি বেশি নজর দিচ্ছে। তাই এসব পণ্য আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে জানিয়ে তিনি বলেন, পণ্যের আমদানি মূল্য ও বিক্রয় মূল্যের মধ্যে ব্যবধান কমছে। সরকার নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে।

বিজ্ঞাপন